শান্তিপূর্নভাবে তালিকা ধরে চলছে ক্রসফায়ার

তাহলে এটা ধরে নেওয়া যায় যে বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মী যারা হাসিনার রোষানলে তালিকাভুক্ত তারা সবাই পুলিশের দিকে গুলি ছুড়বে এবং জীবন রক্ষার জন্য পুলিশ তাদের দিকে গুলি ছুড়বে এবং পুলিশ জয়লাভ করবে এবং এইসব ছেলেরা সবাই মারা যাবে।

এইসব মৃত্যুরোধ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়?
অনেকেই মনে করেন, হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করেই এইসব মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারনের কোন সুযোগ নেই। হাসিনার রোষানল তালিকাভুক্ত সকল বিএনপি ও জামাত নেতাকর্মীরা যদি মারা যায় তবুও যতক্ষন পর্যন্ত না মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও ভারত সন্মিলিতভাবে হাসিনাকে অপসারণ করবে বা মুজিবকে অপসারনের জন্য মার্কিন যুক্তরাস্ট্র যেভাবে পরিকল্পনা করেছিল ঠিক সেইভাবে হাসিনাকে অপসারনের পরিকল্পনা না করবে ততদিন পর্যন্ত এইসব মৃত্যু বন্ধ হবেনা।

মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও ভারত হাসিনার দ্বারা উপকৃত। ওরা কেন হাসিনাকে অপসারন করবে? এই রোষানল তালিকা তৈরির কথা তো ওরাও জানে। এই রোষানল তালিকা “দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যুদ্ধে”র  একটি গুরুত্বপূর্ন খেলনা। অন্যদেশে এসে সেই দেশের সম্পদ লুট করার খেলাতে সেই দেশের নেটিভের মৃত্যু একটি অংশ ও মজার খেলা। বাংলাদেশের মানুষের মৃত্যুতে ওদের কিছু যায় আসেনা। সাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বোমা ফেলে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র অনেক বেশী মানুষ হত্যা করেছে। সেই তুলনায় ক্রশফায়ারে মৃত মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য ।

এই মৃত্যুরোধ করা সম্ভব যদি সাড়া বাংলাদেশের সবাই আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও ভারতকে বাংলাদেশের সম্পদ পাচারে সাহায্য করে। ওদের লুট করতে দিন বাংলাদেশের সম্পদ আপনি আপনার জীবন বাঁচান। বাংলাদেশে যখন কিছু থাকবেনা তখন মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও ভারত থেকে রিলিফ আসবে। পালেস্টাইনের জনগনের মত আপনারা ক্যাম্পে বাস করবেন, ট্রাকে করে রিলিফের খাবার আসবে, খাবেন, মাঝে মাঝে কোন দুষ্টু ছেলে বিদ্রোহ করলে বোমা বর্ষন করে ভারত তাঁকে দমন করবে। সেই বোমার আঘাতে আপনাদের শিশুরা তখন মারা যাবে। তখন জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিবৃতি দেবে “India has rights to protect its land and people”… আধুনিক রাজনীতিতে জনগন হলো মধ্যস্বত্বভোগী বিদেশী পুঁজিপতিদের দালালদের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, আর ডিনার। যুগ যুগ ধরে জনগনের রক্ত আর ঘাম পান করেই পুঁজিপতিরা পুঁজির পাহাড় গড়ে।  মধ্যস্বত্বভোগীদের বিশ্বাস করে যুগ যুগ ধরে জনগন ঠগে। মাঝে মাঝে এই মধ্যস্বত্বভোগী নিজেও অন্য একজন মধ্যস্বত্বভোগীর প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখী দাঁড়িয়ে প্রমাদ গুনে, মারা যায়, ফলাফল বীর হিসাবে জনগনের মনের মধ্য আশ্রয় লাভ করে আর যে বেঁচে থাকে সে শোষন করতে থাকে, জনগনের রক্ত আর ঘাম যোগান দিতে থাকে, পুঁজিপতিদের ব্যাংক  ব্যালান্স বৃদ্ধি করতে থাকে। দুনিয়া তার আপন গতিতে চলতে থাকে। আগে বা পরে, সময়ে বা অসময়ে মৃত্যু এসে হানা দেয়। কাফন পরিধান করে লাশ কাঁধে চড়ে তারপর নেমে যায় মাটির নীচে। তারপর সবাই ভুলে যায় সব কিছু। শোষনের চাকা ঘুরতে থাকে। ঘুম ভেঙ্গে দৌড়াতে থাকে আশা আর আকাঙ্ক্ষা। তারপর রক্ত আর ঘাম শুষে নিলে পড়ে যায় মুখ থুবড়ে।

৯ thoughts on “শান্তিপূর্নভাবে তালিকা ধরে চলছে ক্রসফায়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *