বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশে বাধা দেয়ার নিন্দা জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘কোনো অপরাধী, ফাঁসির আসামিকেও যত্ন করে খাবার দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের একজন প্রধান নেত্রীর সঙ্গে এ রকম অমানবিক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’ রবিবার মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। রক্তের দামে কেনা দেশটাকে জেদাজেদি করে ধ্বংস না করতে দুই নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে দেশের সংকট নিরসনে কারও জয়-পরাজয়ের প্রশ্ন নেই। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যার সঙ্গে প্রয়োজন তার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’ তার এ বক্তব্য লিখিত আকারে গণমাধ্যমে পাঠান দলটির যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকী ১৯ দিন যাবৎ অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার ও সংলাপের দাবিতে তার দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অবিলম্বে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করুন, আলোচনায় বসুন। সমস্ত উগ্রতা ঝেড়ে ফেলে মানবতার পথে ফিরে আসুন। মানবতাহীন অসভ্যতায় বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে।
রক্তের দামে কেনা দেশটাকে জেদাজেদি করে ধ্বংস করবেন না।’ এদিকে গত শনিবার রাতে মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে রাত দুইটার পর হঠাৎ বৃষ্টি নামলেও তিনি ফুটপাত ছেড়ে অন্য কোথাও যাননি। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীরাও তার সঙ্গে অবস্থান করেন। গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিরবচ্ছিন্ন অবস্থান কর্মসূচি করেন কাদের সিদ্দিকী।
আতিক / প্রবাস