খালেদার অফিসে কেন খাবার যাবে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেকে নিজে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তার অফিসে কেন খাবার যাবে সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রবিবার সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর কার্যপ্রণালী বিধির ৬৮ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে আনিত নোটিশের ওপর দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তারা বলছে- তাদের নাকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হয় না। ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিবাদ মিছিলের। তাদের বাধা দেয়া হয়নি। তাদের অনুমতিও ছিল। কিন্তু কেউ রাস্তায় নামেনি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু দরদী বলছেন- তার (খালেদার) অফিসে নাকি খাবার যাচ্ছে না। অফিসে খাবার যাবে কেন? অফিস শেষে বাড়ি যাবে, বাড়িতে বসে খাবার-দাবার খাবে।’ ‘সেখানে (খালেদার কার্যালয়) নাকি প্রতিনিয়ত ৫০/৬০ জন মানুষ থাকে।

এতো মানুষ সেখানে বসে কি করছে? উনি অফিসে বসে কাদের পাহারা দিচ্ছেন? রাজনৈতিক কর্মী নাকি সন্ত্রাসী। অফিসে কারা আছে, এখানে কোনো জঙ্গি সন্ত্রাসী আছে কি না, এটা দেখা উচিত’ যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(খালেদা জিয়া) সেখান থেকে টেলিফোন করে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। আরেকটি বিষয় খুঁজে বের করতে হবে কারা তাদের অর্থ যোগান দিচ্ছে।’ সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী। তাদের সঙ্গে আলোচনা করলে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বিপন্ন হতে দিতে পারি না। তাদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। সে কথা বিবেচনা করেই আমরা পরীক্ষা এমন সময়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি।

স্বস্তির সাথে নিরাপদে যাতে তারা পরীক্ষা দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করি জনগণের জন্য আর সেই জনগণকেই যদি কোনো দল হত্যা করে এটাকে কি বলা যাবে? এটা রাজনীতির নামে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম। সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কার্যক্রম। বিএনপি-জামায়াত জোট এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমগুলোই করে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে নির্বাচনে আনার জন্য আমি নিজে ফোন করেছি। এমনকি সর্বদলীয় সরকার গঠন করে তাকে যে পদ চান তা দেয়া হবে। তারপরও তাকে নির্বাচনে আনা যায়নি। তার ছেলে মারা যাওয়ার পরও আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *