কুয়েতে চার হাজার সেনা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কুয়েত রওনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চার হাজার সৈন্য। রবিবার বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, কলোরাডোর ফোর্ট কারসন ঘাঁটি থেকে ইতিমধ্যে সেনারা রওনা হয়ে গেছে।

আইএসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদি সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন  প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিন বছর মেয়াদি এ অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে ওবামা বলেছিলেন, এই যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। বারাক ওবামার সময়ে কোনো দেশে এটিই সবচেয়ে বড় সংখ্যক সেনা মোতায়েন।

কুয়েতে যেসব সৈন্যকে পাঠানো হয়েছে তারা আগামী তিন বছর আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।  তবে  আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোন ‘ঘনিষ্ঠ মিত্রের সফলতার’ পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানের মেয়াদ বাড়ানো যাবে। সৈন্যরা ইরাক, কুয়েত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের সেনাবাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেবে।

ইরাক যুদ্ধের পর ২০১১ সাল থেকে কুয়েতে একটি মার্কিন সেনা ব্রিগেড অবস্থান করছে। এই ব্রিগেডসহ ফোর্ট কারসন থেকে নতুন করে যাওয়া ব্রিগেডটি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে। কর্নেল গ্রেগ সিয়েরার নেতৃত্বে পরিচালিত নতুন এই ব্রিগেডটি ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী। এর অনেক সেনাই এর আগে ইরাকযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।

কর্নেল সিয়েরা বলেন, ‘আমরা সেখানে নতুন নই।’

তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি আমরা লড়াই করতে পারি তাহলে আমরা সুনিশ্চিত বিজয়ী হবো।’

১৪ thoughts on “কুয়েতে চার হাজার সেনা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *