নির্বাচনের আগে দুই পক্ষের শত্রুতার অন্ত ছিল না। কেজরিওয়ালকে নৈরাজ্যবাদী আখ্যা দিয়ে জঙ্গলে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। আর কেজরিওয়ালের প্রচারের মূলমন্ত্রটিই ছিল, বিজেপি-কংগ্রেসের দুর্নীতি আর চুরি।
সেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি জয় করার পর পরই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি কেজরিওয়ালকে বলেন, ‘একটা সুন্দর দিল্লি তৈরি করুন।’ কেজরিওয়াল সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘ আমি একলা নই, দুজন মিলেই বানাব।’ মোদিও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাঁর বাসভবনে চা খেতে আমন্ত্রণ জানান কেজরিওয়ালকে। কেজরিওয়াল সাদরে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
কথা অনুযায়ী দিল্লির সরকার গঠনের আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা হচ্ছে একসময়ের দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর। এনডিটিভি জানিয়েছে, সেখানেই তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মোদিকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি।
আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথে দেখা করেন কেজরিওয়াল। সেখানে দিল্লির সুরক্ষা, বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ হয় তাদের। রাজনাথ সিংকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান কেজরিওয়াল।
এদিকে দিল্লির রামলীলা ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য শপথ অনুষ্ঠানে থাকার ব্যাপারে অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কেজরিওয়ালের এক সময়ের গুরু আন্না হাজারে। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
AL Amin Jcd liked this on Facebook.
Sarowar Islam liked this on Facebook.