শেররপুরের নালিতাবাড়ীতে এলাকায় আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রমজান আলী (৪২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষক খুন হয়েছেন। তিনি উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ীপাড়া গ্রামের মৃত ওমেদ আলীর ছেলে এবং উপজেলার চিনামার দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দাওধারা কাটাবাড়ীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- নিহত রমজান আলীর বড় ভাই নুর আলী (৬০), বোন শামছুন্নাহার (৪৫) একই গ্রামের শাহ আলীর ছেলে জয়ফল মিয়া (২৫)।
তাদের মধ্যে নুর আলী ও জয়ফলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাওধারা কাটাবাড়ীপাড়া গ্রামের শাহা আলী, নজরুল ইসলাম, বকুল মিয়া, আব্দুল আজিজদের সঙ্গে নিহত রমজান আলীর কাঠ বাগানের কাঠ কাটাকে কেন্দ্র করে গত ১ বছর যাবত বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধ মিমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শাহা আলীর ছেলে জয়ফল মিয়া (২৫) স্থানীয় ইসলামিক মিশন থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিহত রমজান আলীর বড় ভাই নুর আলীর মুদি দোকানে সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জয়ফল মিয়াকে নুর আলী ও নিহত রমজান আলী মারধর করে। পরে জয়ফল বাড়িতে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বাবা শাহা আলী ও বকুল মিয়ার নেতুত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্র দা, লাঠি-সোটা নিয়ে নুর আলীর দোকানঘর ঘিরে ফেলে এবং উপযপুরি লাঠি সোটা ও দায়ের কোপে রমজান আলী ও নুর আলী এবং তাদের বোন শামছুন্নাহারকে কুপিয়ে গুরতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে পুলিশের সহযোগিতায় নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আমিনুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ও হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।
Tareq Ahmed liked this on Facebook.
প্রবাসী বাজলবী liked this on Facebook.