ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু!

মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত থেকে গতকাল (মঙ্গলবার) ভোরে এ সব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবারই মৃত্যুর ঘটনায় কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত্যুর এ পরিসংখ্যান একেবারেই স্বাভাবিক। একই সঙ্গে হাসপাতালের সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। তবে, স্বজন হারানোদের অভিযোগ- চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত না করায় এসব মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, চলমান হরতাল-অবরোধে একেবারে ভেঙে পড়েছে ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসা-ব্যবস্থা। ডাক্তারদের অনিয়মিত উপস্থিতি শুধু নয়, টপ-টু-বটম মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেবার মান দেখলে মনে হবে-দেখার বা বলার কেউ নেই।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এক হাসপাতালে একদিনে ১০ শিশু মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক। তবে, পরিস্থিতি এবং রোগীর অনুপাতকেও বিবেচনায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সার্বিক বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।
শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. সহিদুল্লাহ বলেন, শিশুসহ একদিনে এতগুলো মৃত্যুর ঘটনা কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তিনি চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় শিশু ওয়ার্ডে একদিনে ৯০ শিশু ভর্তিকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে বলেন, শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৫৬টি। গত সোমবার থেকে এই ওয়ার্ডে বর্তমান অস্থিরতার মধ্যেও ৯০ শিশু ভর্তি হয়েছেন। খুব খারাপ অবস্থা না হলে এই অবস্থায় সাধারণত হাসপাতালে আনা হয় না। একই সঙ্গে পূর্বের ভর্তি শিশু মিলিয়ে মোট শিশু দাঁড়িয়েছে ১৬০ জনের উপরে। যা রাজধানীর বিশেষায়িত শিশু হাসপাতালেও সচরাচর দেখা যায় না। এরপরও একদিনে ১০ শিশু মৃত্যুর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মৃত্যুর ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, একটি হাসপাতালে একদিনে এরকম মৃত্যুর হারকে সরকার গুরুত্বের সাথে দেখছে। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি করেছে। মন্ত্রণালয় থেকেও কমিটি করা হয়েছে। যদি চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে দায়ীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাঠ রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে ‘দেশজুড়ে সহিংসতা ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারার’ প্রতিবাদে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেছিলেন, আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে সহিংসতা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছে। তাই স্বজনহারা ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন- আন্দোলনের বাস্তবতা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরব থাকলেও খোদ তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষের সেবার ব্যাপারে তাদের ভূমিকা কতটুকু দায়িত্বশীল ছিল?
হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন পূর্বে হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিসেবে ছিলেন ডা. এহতেশামুল হক দুলাল। তার দায়িত্বকালীন সময়ে চিকিৎসাসেবাসহ সার্বিক ব্যাপারে আশাতীত উন্নীত হয়েছিল হাসপাতালের কার্যক্রম। নিয়মিত ডাক্তারদের উপস্থিতি যেমন ছিল, তেমনি পান থেকে চুন খসলে জবাবদিহিতাও ছিল। কিন্তু তার পদোন্নতি বদলির পর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ও অন্যান্য কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। আর এরই অংশ হিসেবে ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যু। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ কিংবা দায় স্বীকারের পরিবর্তে স্বাভাবিক ঘটনা বলে অভিমত প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি, বিষয়টি নিয়ে সংবাদকর্মীরা বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে বলেও দায় এড়িয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল প্রশাসন।
সূত্র অনুযায়ী মৃত্যু ১০ শিশুর তালিকায় রয়েছে সাত দিনের শিশু আব্দুস সুবহান আকাশ, ছয় মাসের শিশু বয়সী নাদিরা, দেড় বছরের শিশু সামিয়া, সাড়ে তিন বছরের শিশু তাজরিয়া, আড়াই বছরের শিশু মাহাদী ও তিন বছরের শিশু সাফরাজ। এছাড়া ছন্দা রানী, আসমা বেগম ও নিলুফার একদিনের নবজাতক এবং ইয়াসমিন বেগমের তিনদিনের নবজাতক। গতকাল (মঙ্গলবার) ভোররাতেই হাসপাতালের ৫ম তলার ২২, ২৩ ও ২৪ নং শিশু ওয়ার্ডে এই ১০ শিশু মারা যায়। মারা যাওয়া শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, রাত ৩টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত এক এক করে ৯ জন শিশু মারা যায়। ওদের মৃত্যুর ছটফটানি দেখে ডাক্তারদের ডেকে আনতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এমনকি নার্সরাও দুব্যর্বহার করেছেন তাদের সাথে। আর চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েছে নাড়িছেঁড়া আদরের ধন।
আকাশ নামের এক শিশুর নানি মারজান বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নাতিকে সোমবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩টার দিকে সে মারা যায়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ডাক্তার ও নার্সদের চিকিৎসাসেবার জন্য বিভিন্ন ধরনের আকুতি করেছেন, কিন্তু খারাপ ব্যবহার ছাড়া কোন সেবা জোটেনি কপালে। ঠিক একই অবস্থা অন্যদের বেলায়ও। রাত ৩টায় মারা যায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মুতাহিদ আলীর তিন বছরের শিশু সন্তান সাফরাজ। শিশুটি মারা যাওয়ার পরও তার পিতাকে ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে দেয়নি সিকিউরিটি গার্ড। কারণ, তিনি চাহিদা মাফিক অর্থ দিতে পারেননি বলে তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
অন্যদিকে, জকিগঞ্জের বেলাল আহমদ, বিশ্বনাথের আনসার আলীর অভিযোগ, রাতে ইনকিউবেটরে থাকা শিশুদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিচর্যার কথা থাকলেও চিকিৎসক এবং নার্সদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আবদুস সালাম বলেন, নার্স এবং ডাক্তারের চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয়। এরপরও তদন্তে অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ১০ শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ১০ জনের মধ্যে ৬ জন জন্ম জটিলতার কারণে, ২ জন অপুষ্টিজনিত সংক্রমণে, একজন নিউমোনিয়া রোগে এবং অন্য একজন ঠা-াজনিত কারণে মারা গেছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ইসমাইল পাটোয়ারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, শিশু বিভাগের বিভাগীর প্রধান ডা. মনজ্জির আলী এবং আবাসিক চিকিৎসক রঞ্জন কুমার রায়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, হাসপাতালে প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেগুলো সংবাদ মাধ্যমে আসে না। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মারা যাওয়ায় বিষয়টি সবার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তিনি বলেন, সীমিত লোকবল দিয়ে সিলেটের সবচেয়ে বড় এই প্রতিষ্ঠানেও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ১০ শিশু ছাড়াও মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মারা যাওয়া অন্য ২২ জনের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৫ জন, স্ট্রোকজনিত কারণে ৫ জন, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত ৩ জন, ক্যান্সারে ১ জন, রক্তশূন্যতায় ১ জন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১ জনসহ বিভিন্ন কারণে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
তবে তদন্ত কমিটির সদস্য ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মনজ্জির আলী ক্লাস পরীক্ষা চলার অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে শুধু বলেন, এসব মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক, অহেতুক সাংবাদিকরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুস ছবুর মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, রাতে ৭৫ জন রোগী এসে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। মারা যাওয়া শিশুদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এরপরও চিকিৎসার অবহেলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধে কারণে রোগীদের নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন অভিভাবকরা। হাসপাতালে এসে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাও। ডাক্তার, নার্সদের প্রত্যাশিত উপস্থিতি ও সেবাও তারা পায় না। সে কারণে প্রায়ই ঘটছে এসব ঘটনা। কিন্তু এসব ঘটনা যখনই মিডিয়ার বদৌলতে লোকচক্ষুর সামনে আসছে। তারপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নড়াচড়া শুরু হয়। ঘটনার চাউর হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলসহ সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা বদরউদ্দিন কামরান ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ ব্যাপারে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, তিনি হাসপাতালে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে জানানো হয়েছে, ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ রোগী প্রতিদিনই হাসাপাতালে থাকে। নানা সীমাবদ্ধতায় তাদের চিকিৎসা প্রদানে হিমশিম খেতে হয় সকলকে। তারপরও মৃত্যুর এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হবে, কেন এমন ঘটনা ঘটল। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হাসপাতাল) মোশাররফ হোসেন এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। কমিটিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা শোনেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত অবহিত হন। এসময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনো অবহেলা চিহ্নিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক মৃত ৩২ জনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এতে দেখা যায়, জন্মকালীন শ্বাসরোধের কারণে ৪, মায়ের অপুষ্টিজনিত কারণে ৩, পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় ১ নবজাতক, ডায়ারিয়া ও ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় ২ শিশু মারা যায়। সিলেটের একটি গ্রামের মারামারির ঘটনায় ৫ জন মারা যায়। ব্রেইন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে ৪ জন, হার্ট অ্যাটাকে ৩ জন, কার্ডিয়াক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২ জন, ফুসফুসজনিত রোগ ও যক্ষ্মায় ১, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসজনিত জটিলতায় ১, অজ্ঞাত বিষক্রিয়ায় ১, অ্যানসেফেলাইটিস-এ ১ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *