ব্যাটসম্যানদের জন্য
আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে এমন ১০
বোলারের তালিকা প্রকাশ
করেছে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
ইএসপিএনক্রিকইনফো। এ তালিকায়
ডেইল স্টেইন, মিচেল জনসনের
সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায়
অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে এবার
পেসারদের দাপট
দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এ তালিকায়
জায়গা করে নিয়েছে চার
স্পিনারও।
ডেইল স্টেইন (দ. আফ্রিকা)
বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম
সেরা পেসার দক্ষিণ আফ্রিকার
ডেইল স্টেইন। দুর্দান্ত পারফরমেন্সের
কারণে নিঃসন্দেহে এ
বোলারকে এগিয়ে রাখবে সবাই।
গতির সঙ্গে চমৎকার
সুইং বোলিংয়ে জুড়ি নেই তার। ৯৬
ওয়ানডেতে ১৫১ উইকেটের মালিক
ডানহাতি এ বোলার।
মিচেল জনসন (অস্ট্রেলিয়া)
২০১৪ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটার
অস্ট্রেলিয়ার পেসার অস্ট্রেলিয়ার
পেসার মিচেল জনসন। বাঁ-হাতি এ
পেসারের দুর্দান্ত গতি আর
বাউন্সারে খ্যাতি রয়েছে। আর
নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ
জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখতে পারেন তিনি। গত
বছর ২৬.৬৪ গড়ের ১০ ম্যাচে তুলে নেন
১৪ উইকেট।
জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড)
চতুর্থ বারের মতো বিশ্বকাপ খেলবেন
ইংল্যান্ডের পেসার জেমস
অ্যান্ডারসন। গত বছর
রাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ ৩
নম্বরে উঠেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া-
নিউজিল্যান্ডের
বাউন্সি উইকেটে ইংল্যান্ডের
বোলিং আক্রমণ
সাজানো হবে তাকে কেন্দ্র করে।
মরনে মরকেল (দ. আফ্রিকা)
ডেইল স্টেইনের সঙ্গে দক্ষিণ
আফ্রিকার পেস আক্রমণে থাকছেন
মরনে মরকেল। ৫১ ম্যাচে ১৫২
উইকেটের মালিক এ
দীর্ঘদেহী বোলার।
নভেম্বরে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে পাঁচ উইকেট তুলে নেয়ার
কৃতিত্বও দেখান তিনি।
সচিত্র সেনানায়েকে (শ্রীলঙ্কা)
ডিসেম্বরে ওয়ানডে বোলিংয়ে সর্বোচ্চ
৭ নম্বরে উঠেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার
সচিত্র সেনানায়েকে।
ঘূর্ণি জাদুতে মে’তে ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে ১৩ রানে ৪ উইকেট
তুলে নেন ডানহাতি এ স্পিনার।
টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)
২০০৮ সালে মাত্র ১৯ বছর
বয়সে নিউজিল্যান্ড জাতীয়
দলে অভিষেক হয় টিম সাউদির। গতির
সঙ্গে সুইংয়েও দক্ষতা রয়েছে তার।
২০১১ বিশ্বকাপে চমৎকার পারফরমেন্স
করেন তিনি। টুর্নামেন্টের তৃতীয়
সর্বাধিক ১৮ উইকেট
শিকারি বোলার তিনি।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশের
ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়
সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারের
শুরুতে থেকে বাংলাদেশের
ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন
এ অলরাউন্ডার।
বর্তমানে আইসিসি টেস্ট ও
ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডারও
সাকিব। ভারতের
আইপিএল,অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ ও
ইংল্যান্ডের কাউন্টি খেলার
অভিজ্ঞতা রয়েছে সাকিব আল
হাসানের।
মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচের শুরুতে পেস ও সুইংয়ে উইকেট
তুলে নেয়ার দারুণ
দক্ষতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া পেসার
মিচেল স্টার্কের। ২০১৩
সালে ক্যারিয়ারের শুরুতেই ২০
রানে ৫ উইকেট তুলে নেয়ার কৃতিত্ব
দেখান বাঁহাতি এ পেসার। ৩৩
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৬২ উইকেটের
মালিক তিনি।
রঙ্গনা হেরাথ (শ্রীলঙ্কা)
বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ।
কেরাম বলে দারুণ
দক্ষতা রয়েছে শ্রীলঙ্কার এ
বোলারের।
ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬
রানে ৩ উইকেট তুলে নেন
রঙ্গনা হেরাথ।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)
২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের
ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অফ-
স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও
দক্ষতা রয়েছে তার। ম্যাচের মাঝ
সময়ে উইকেট তুলে নেয়ার জুড়ি নেই
অশ্বিনের। ৮০ ওয়ানডেতে ১২০
উইকেটের মালিক তিনি।
রিয়াজ/প্রবাসনিউজ