আর মাত্র পাঁচ দিন পরে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আসরের ১৪টি দল।
অনেক খেলোয়াড় এই বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। পরবর্তী বিশ্বকাপ আসার আগে অনেক খেলোয়াড়কে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনেই দেখা যাবে না।
সাত পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ শেষ পর্বে পাঠকদের জন্য এমন কিছু ক্রিকেটারের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হলো-
লাসিথ মালিঙ্গা : শ্রীলঙ্কার গলে তার জন্ম ১৯৮৩ সালে। লঙ্কানদের ওয়ানডে দলে অভিষেক ২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপক্ষে।
মালিঙ্গা এ পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ১৭৭টি। এর মধ্যে ১৭১টি ইনিংসে বল করে ২৭১ উইকেট নিয়েছেন এই লঙ্কান পেসার। এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাত বার। ৩৮ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার।
এ ছাড়া ৮৭টি ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৪২ রান করেছেন মালিঙ্গা। ফিফটি রয়েছে একটি। সেরা ইনিংস ৫৬ রান।
এবারের বিশ্বকাপে লঙ্কানদের পেস আক্রমণের দায়িত্ব তার কাঁধে। তবে এই পেসারের বয়স এরই মধ্যে ৩১ পেরিয়ে গেছে। ফলে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে হয়তো আর দেখা যাবে না তাকে!
মিচেল জনসন : অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে জনসনের জন্ম ১৯৮১ সালে। অসি দলে ওয়ানডে অভিষেক ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
তিনি এ পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ১৪৫টি। এর মধ্যে ১৪২ ইনিংসে বল করে ২২৪টি উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছেন তিনবার। সেরা বোলিং ফিগার ৬/৩১।
এ ছাড়া ৮৭টি ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে ৯২০ রান করেছেন জনসন। ফিফটি রয়েছে দুটি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ৭৩ রানে অপরাজিত।
নিজ দেশের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। তবে তার বয়স ৩৩ পেরিয়ে গেছে। পরবর্তী বিশ্বকাপে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ!
নিল ও’ব্রায়েন : আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে তার জন্ম ১৯৮১ সালে। আইরিশ দলে ওয়ানডে অভিষেক ২০০৬ সালে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান তিনি।
আইসিসির সহযোগী দেশটির হয়ে ও’ব্রায়েন ম্যাচ খেলেছেন ৬৪টি। ৬৩টি ইনিংসে ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমে তার সংগ্রহ ১ হাজার ৬৪৯ রান। ফিফটি আছে ১২টি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ৮০ রানে অপরাজিত।
এবারের বিশ্বকাপে আইরিশদের হয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়াবেন তিনি। তার ব্যাটের দিকেও তাকিয়ে থাকবে দলটি। তবে বয়স ৩৩ পেরিয়ে গেছে তার। ফলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগেই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে ও’ব্রায়েনের।
জেমস ট্রেডওয়েল : ১৯৮২ সালে তার জন্ম ইংল্যান্ডের অ্যাশফোর্ডে। ইংলিশদের ওয়ানডে জার্সি তার গায়ে ওঠে ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
এ পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ৪৪টি। এর মধ্যে ৪৩টি ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ৫৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং ফিগার ৪/৪১। এ ছাড়া ২৫টি ইনিংসে ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমে তিনি রান করেছেন ১৬৩। সেরা ইনিংস ৩০ রান।
ইংলিশদের এবারের বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন ট্রেডওয়েল। তবে তার বয়স যে এরই মধ্যে ৩৩ ছুঁই ছুঁই। ফলে নিজ দেশে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে হয়তো তাকে আর দেখা যাবে না!
অ্যালেক্স কুসাক : তার জন্ম ১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। অস্ট্রেলিয়াতে জন্ম নিলেও আয়ারল্যান্ডকে নিজের দেশ বানিয়ে ফেলেছেন কুসাক। আইরিশদের দলে ওয়ানডে অভিষেক ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আইসিসির সহযোগী দেশটির হয়ে তিনি এ পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৫৪টি। এর মধ্যে ৪৮টি ইনিংসে বল করে উইকেট নিয়েছেন ৫৬টি। সেরা বোলিং ফিগার ৫/২০।
এ ছাড়া ব্যাট হাতে ৪৩টি ইনিংসে ক্রিজে নেমে রান করেছেন ৭২৬। ফিফটি রয়েছে ২টি। সেরা ইনিংস ৭১ রান।
আয়ারল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ দলে আছেন কুসাক। তবে বয়স এরই মধ্যে ৩৪ পেরিয়ে গেছে। ফলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যাবে তার!
তথ্যসূত্র : ক্রিকইনফো