আপনি জানেন কি? যাবতীয় প্রাণিকুলের মধ্যে একমাত্র মানুষ যৌনতার বিশ্বস্ততা আর প্রতিশ্রুতি খোঁজে। কিন্তু কেন? বিজ্ঞানীরা এই প্রথমবারের মতো এই প্রশ্নের জবাব খুঁজেছেন। তারা জানান, অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে একজনমাত্র সঙ্গী বা সঙ্গিনী অথবা বহুজনের সঙ্গে যৌনজীবন অতিবাহিত করার স্বভাব থাকলেও তাদের মধ্যে বিশ্বস্ত থাকা বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিষয়টি নেই। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এর এক দল গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেন।
প্রধান গবেষক রাফায়েল ওডারস্কি জানান, নারী-পুরুষ সম্পর্কের ভিত্তিতে একসঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন। তবে সম্পর্কে যখন যৌনতা চলে আসে, তখন আকস্মিকভাবে অনেকের মাঝে খাপছাড়া ভাব চলে আসে।এ গবেষণার কাজে অনলাইনে প্রশ্নের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকা ও ব্রিটেনের ৫৮৫ জন নর-নারীর জবাব নেওয়া হয়। এদের বয়স ১৮-৬৩ বছরের মধ্যে হলেও গড় বয়স ছিল ২৫ বছর।
পাশাপাশি সম্প্রতি রাফায়েল ওডারস্কির আরেক গবেষণায় বলা হয়, ডানহাতের অনামিকা যদি তর্জনীর চেয়ে বেশি লম্বা হয় তবে তাদের চরিত্র নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করা যায়। জন্মের আগেই আঙুলের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হয়। গর্ভে থাকাকালীন সেক্স হরমোন শিশুর মাঝে কাজ শুরু করে। যাদের অনামিকা বেশি লম্বা হয়, তাদের মাঝে টেস্টোসটেরন হরমোনের প্রভাব বেশি থাকে। আর এটি অধিক সংখ্যক সেক্স পার্টনারের প্রতি চাহিদার জন্ম দেয়।
এই দুই গবেষণার তথ্য মিলিয়ে দেখা গেছে, পুরুষদের ৫৭ শতাংশ একাধিক যৌন সঙ্গিনীর প্রতি আকৃষ্ট। অন্যদিকে ৪৩ শতাংশ পুরুষ বিশ্বস্ত থাকতে চান। নারীদের ক্ষেত্রে ৪৭ শতাংশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন, তবে ৫৩ শতাংশ একজন সঙ্গীই চান।আরেক গবেষক রবিন ডানবার বলেন, যারা একজনের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চান তারা নানা রকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত। তারা এর ব্যতিক্রমের যে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সে সম্পর্কে সচেতন।
রবিন আরো বলেন, তবে যৌন আচরণের ক্ষেত্রে গর্ভে থাকাকালীন বিষয়টি কম প্রভাবশালী বলেই গণ্য করা যায়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা থেকেই মানুষের যৌন আচরণ গড়ে ওঠে।কাজেই যৌনজীবন গড়তে ভিন্ন ধরনের মানুষ থাকবেই এবং এরা একেক দৃষ্টিকোণ থেকে এক বা একাধিক সঙ্গী-সঙ্গিনী বাছাই করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
রিয়াজ/প্রবাসনিউজ