পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, ‘নাশকতার মাধ্যমে যারা মানুষ হত্যা করে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নষ্ট করে তাদের যেখানে যে অবস্থায় পাবেন যা করার তাই করবেন। শুধু গাজীপুরই নয়, দেশের কোথাও যেন এ শ্রেণীর মানুষ খুঁজে পাওয়া না যায়। আমি হুকুম দিলাম, আপনারা করবেন। দায় দায়িত্ব আমার।’
শনিবার বিকেলে গাজীপুর পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে পুলিশ সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী একই ধরনের নির্দেশনা দেন এবং সব দায়দায়িত্ব নিজে নেবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
গাজীপুরে ডিআইজি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করলেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘ওরা দেশে একটা গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছে, দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। দেশকে রক্ষার জন্য দ্বিতীয়বার মুক্তিযুদ্ধ করতে হলে আমরা করব। কিন্তু এদেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র দেয়া হয়েছে কী জন্য? দেশের মানুষের জানমাল, নিরাপত্তা এবং দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের অস্ত্র দেয়া হয়েছে। কেউ যদি দেশের সম্পদ ধ্বংস এবং আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করে, তাহলে কি আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষবো?’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘যারা নাশকতা করবে তাদের বিরুদ্ধে যা যা করা দরকার সব কিছুই করবেন। শুধু গুলি করা নয়, ওদের বংশ পর্যন্ত ধ্বংস করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সে স্বাধীনতা কয়েকজন লোকের স্বার্থে বিদেশি প্রভূদের স্বার্থের কারণে দেশ ধ্বংস করে দেব তা হতে পারে না। দেশের মাটি ও মানুষকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশে একটি গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চেষ্টা করছে। দেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ কুলাঙ্গার, কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবো। এদের হাত থেকে দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসইপ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ প্রমুখ।
Manikmiah Manik liked this on Facebook.
Jone Make liked this on Facebook.
কে এম হোসাইন শরীফ liked this on Facebook.
Abul Kashem liked this on Facebook.
মানিক মিয়া liked this on Facebook.
Jone Make liked this on Facebook.
কে এম হোসাইন শরীফ liked this on Facebook.
Abul Kashem liked this on Facebook.