আইএসের বিরুদ্ধে জর্ডানের তীব্র বিমান হামলা

আইএসের বিরুদ্ধে তীব্র বিমান হামলা শুরু করেছে জর্ডান। গতকাল দেশটি তাদের বিমান অভিযান সিরিয়া থেকে ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। জর্দানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আইএসকে পরাজিত না করা পর্যন্ত এ হামলা অব্যাহত রাখবে তারা। জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদেহ শুক্রবার বলেছেন, তার দেশের যুদ্ধবিমান সিরিয়া ও ইরাকে আইএস লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে আইএসের বিরুদ্ধে হামলায় যোগ দেয় জর্দান। তবে ধারণা করা হয়, এত দিন কেবল সিরিয়ায় আইএস লক্ষ্যবস্তুতে জর্দানের হামলা অব্যাহত ছিল।

এবার ইরাকেও হামলা সম্প্রসারণ করলো দেশটি। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। সম্প্রতি আইএস জর্দানের একটি যুদ্ধবিমানের পাইলট মোয়াজ আল কাসাসবেহকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। এরপর দেশটির সরকার ‘দুনিয়া কাঁপানো’ প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেয়। ওই ঘটনার পর আইএসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে জর্দানের সাধারণ মানুষ। যারা আগে আইএসকে দেশের জন্য হুমকি মনে করতেন না, তারাও এখন মত পাল্টাচ্ছেন।

ওই পাইলটকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ভিডিও প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রে নিজের সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। ওই ঘটনার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বুধবার জর্দান দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদেহ বলেছেন, গতকালের বিমান হামলা ছিল প্রতিশোধের সূচনা। তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের সবকিছু নিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে জর্দান। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আইএসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অস্ত্রাগারকে উদ্দেশ্য করে হামলা করছে জর্দানের সামরিক বাহিনী। উল্লেখ্য, ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আইএসের।
ইরাকের পশ্চিমে অবস্থিত আনবার প্রদেশের ইরাকি সীমান্ত পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জর্দানের সেনাবাহিনী ইরাকের সঙ্গে দেশটির সীমানার আরও কাছে অবস্থান নিয়েছে।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *