চীনের শ্যাংকিউ শহরে ঘটে গেলো উদ্ভট ও বর্বরোচিত এক ঘটনা। ২১ বছর বয়সী এক তরুণী ঝ্যাং হাংয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ায় ক্ষুব্ধ এক স্ত্রী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ একবার নয়, দু’বার কর্তন করেছেন। ৩০ বছর বয়সী ফেংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখন শ্রীঘরেই ঠাঁই হয়েছে তার। ৩২ বছর বয়সী স্বামী ফ্যাং লাং ও ফেং ৫ সন্তানের পিতামাতা। স্ত্রীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রেমিকা ঝ্যাংকে ছবি পাঠাতেন ফ্যাং। এরকম কটি ছবি হাতে পড়ায়, হিতাহিত জ্ঞানশূন্য স্ত্রী কাঁচি নিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর ঘরে যান এবং তার ওপর বর্বর হামলা চালান।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিড-ডে। গুরুতর আহত ফ্যাংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু, এতে ক্ষান্ত হননি স্ত্রী ফেং। তিনি হাসপাতালেও যমদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দ্বিতীয়বার একই কা- ঘটান। এবার পুরো যৌনাঙ্গ কর্তন করে ছুঁড়ে ফেলে দেন জানালার বাইরে এবং সেটি হারিয়ে যায়। হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে একজন এসে জানান যে হাসপাতালের বাইরে বিবস্ত্র এক ব্যক্তি এক নারীকে বেদম মারধর করছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান হাসপাতালের কর্মচারীরা।
তারা গিয়ে দেখেন, বিবস্ত্র এক পুরুষের পা দিয়ে ভীষণভাবে রক্ত ঝরছে এবং তিনি এক নারীকে প্রচ- মারধর করছেন। ফ্যাংকে থামানোর পর তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তখন তারা লক্ষ্য করেন, ফ্যাংয়ের ওপর দ্বিতীয়বার হামলা চালিয়েছেন তার স্ত্রী। ওই মুখপাত্র আরও জানান, ফ্যাংয়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং তাকে জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে মানসিকভাবে ভীষণ বিক্ষিপ্ত ও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন তিনি। এদিকে এ ঘটনার পর তরুণী প্রেমিকাও তাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন। ঝ্যাং বলেছেন, ফ্যাংয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি এবং তার সঙ্গী পুরুষের পুরুষত্ব হারানোর বিষয়টি তার কাছে মোটেই মুখ্য নয়।
আতিক/প্রবাস