পাকিস্তানি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ঢাকা যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাসনিম আসলাম বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এ ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই ও দিপিএ। এতে বলা হয়েছে, কট্টর ইসলামপন্থিদের অর্থায়ন ও নকল মুদ্রার একটি চক্র গড়ে তোলার জন্য ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের কনসুলার সেকশনে অ্যাটাচে হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ মাজহার খান। বাংলাদেশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তিনি হিজবুত তাহির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জামায়াত শিবির ও জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভুয়া মুদ্রা সরবরাহ করেছেন।
এ অভিযোগে তাকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার। তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। এরপরে সম্প্রতি তিনি সস্ত্রীক পাকিস্তান চলে যান। তার পাকিস্তান যাওয়ার কথা গতকালই সরকারিভাবে স্বীকার করা হলো এবং এ সম্পর্কে সরকারি বক্তব্য দেয়া হলো। তাসনিম আসলাম বলেন, মাজহার খান পাকিস্তান ফিরেছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যেসব অভিযোগ এনেছে তা তিনি অস্বীকার করেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনার পর ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন শুধু প্রচ- চাপেই নেই, একই সঙ্গে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের ওপর কড়া নজরদারি করছে। এখানে উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের ফাঁসি কার্যকর করছে বাংলাদেশ।
এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা জানানো হয়। সেখানে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় নিয়োজিত পাকিস্তানের দূতকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর ঢাকায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের সন্দেহভাজন চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তারা পুলিশকে বলেছে, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে পাকিস্তানে। এসব ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছে অনেকে।
আতিক/প্রবাস