দেশের সব কারাগার বন্দিতে ঠাঁসা, তিল ধারনের স্থান নেই!

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগার বন্দিতে ঠাঁসা। তিল ধারনের স্থান নেই। রাজনৈতিক ধরপাকড় আর পুলিশের গণগ্রেফতারে কারাগারে প্রতিদিনই আসছে নতুন বন্দি। থানা পুলিশের নিয়মিত গ্রেফতার ও বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে যৌথ অভিযান, ব্লক রেইড এবং চিরুনি অভিযান। এসব অভিযানে আটকদের প্রায় সবাই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী। এদিকে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বোমাবাজ, চোর-ডাকাত আর খুনিদের সঙ্গে ভাগ্য বিড়ম্বনায় জেল খাটছেন নিরীহ অনেকেই। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে কেউ বা পিকেটার, কেউ বা বোমাবাজ কলঙ্ক মেখে কারাগারে ঢুকে পড়েছেন। পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্যে ফেঁসেছেন স্কুল-কলেজগামী অসংখ্য শিক্ষার্থীও। বিপুলসংখ্যক বন্দির কারণে কারাগারগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পাচ্ছে না বন্দিরা। টয়লেটে যেতে হয় লম্বা লাইন দিয়ে। খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বন্দিরা।
কারা সূত্র জানায়, দেশের মোট ৬৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৩৪ হাজার ১৬৭ জন। কিন্তু কারাগারগুলো থেকে পাওয়া তথ্য মতে দেশে এখন কারাবন্দি আছে ৭১ হাজার ৪৬০। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বা কয়েদি ১৮ হাজার ৭৩০ জন। বাকি ৫২ হাজার ৭৩৩ জন বিচারাধীন বন্দি বা হাজতি। বিভিন্ন কারাগারে বিদেশি বন্দি আছেন মোট ৫৪৯ জন। প্রতিদিন সারাদেশে বাড়ছে নতুন বন্দি। কিন্তু জামিন হচ্ছে তুলনামূলক কম। ফলে অতিরিক্ত এসব বন্দির সংস্থান নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। একজনের স্থলে থাকতে হচ্ছে তিন-চারজনকে। সবচেয়ে বেশি বন্দির চাপ সামলাতে হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কক্সবাজার জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষকে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি কারাগারে হাজতির সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ১১৯। গত বুধবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ হাজার ৭৩৩ জনে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতা ২৬৮২ জন, সেখানে গত বুধবার বন্দি ছিল ৭ হাজার ৫৫৫ জন। এদের মধ্যে ১৩৪ জনের জায়গায় বর্তমানে রয়েছেন প্রায় ৬শ’ মহিলা বন্দি। তাদের সঙ্গে রয়েছে অর্ধশতাধিক শিশু। গাজীপুর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীয় কারাগারের বর্ধিত অংশ কাশিমপুর-১ ও কাশিমপুর-২। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ভিআইপি বন্দিসহ সাধারণ বন্দিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রতি সপ্তাহেই কহু বন্দি সেখানে পাঠানো হয়। মাত্রাতিরিক্ত বন্দি সামাল দিতে কারা কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়েছে চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারীদের সাথে।
কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে কারাগারে হাজতি বন্দির সংখ্যা ঢাকা বিভাগে ১৭ হাজার ১৪৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ হাজার ২১২, সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৮১৯, রাজশাহী বিভাগে ৬ হাজার ১৮৩, রংপুর বিভাগে ৩ হাজার ২৭৩, খুলনা বিভাগে ৫ হাজার ৯৩৬ ও বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ১৭০ জন।
আগে থেকেই কারগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দিগুণ বন্দি ছিল। তখনও তাদের থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানান, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তিনি বলেন, এখন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন বা চারগুণ বন্দি হয়েছে। ফলে একজনের জায়গায় তিনজন করে থাকতে হচ্ছে। এতে সমস্যা তো কিছু হবেই। বন্দি সংখ্যা যত বেশিই হোক তাদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে যাচ্ছি।
সিলেট অফিস জানায়, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারেও তিলধারণের জায়গা নেই। ধারণক্ষমতার প্রায় আড়াইগুণ বেশি আসামির ঠাঁই হয়েছে এই কারাগারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত রাজনৈতিক বন্দির চাপে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে কারাগার। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার কামাল হোসেন জানিয়েছেন, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি-হাজতি মিলে ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২১০ জনের। গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল পর্যন্ত কারাবন্দি রয়েছেন ২ হাজার ৭১২ জন। এদের মধ্যে কয়েদি ৭০৭ জন, বাকি ২ হাজার ৫ জন হাজতি। কয়েদিদের মধ্যে ফাঁসির দ-াদেশ প্রাপ্ত ১৩ জন, হুজি একজন, হিজবুত তাহরির দু’জন, বিজিবি সদস্য সাতজন, জেএমবি তিনজন ও বিদেশি অপরাধী ১৭ জন। অতিরিক্ত বন্দির বিষয়ে তিনি বলেন, বন্দি বেশি হওয়ায় কিছুটা সমস্যা তো হবেই। তারপরও বন্দিদের জেল কোড অনুযায়ী যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তার সবটুকুই দেয়া হচ্ছে।
ইনকিলাবের চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৮৫৩ জনের। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারির হিসাবে কারাগারে বন্দিসংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৮৬৭ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় তিনগুণের মতো বন্দি এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। তার ওপর এতো বিশালসংখ্যক বন্দি নিয়ন্ত্রণের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে লোকবল রয়েছে ৩৪৩ জন। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের সংখ্যা এবং তাদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তিত নন বলে দাবি করে আসছেন।
কুমিল্লা জেলের জেল সুপার সুবোধ রঞ্জন সাহা গতকাল বুধবার জানান, তার কারাগারে ১৭৪০ জন বন্দি থাকার ব্যবস্থা থাকলেও গতকাল সেখানে বন্দি সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০০ জন। নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, নোয়াখালী জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা ৩৮৮ জন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত বন্দি ছিল ৯৩৩ জন। এদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার রয়েছেন একজন। কক্সবাজার অফিস জানায়, এখানকার জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা ৫৩০ জন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত বন্দি ছিল ২ হাজার ২০০ জন। তাদের মধ্যে ফাঁসির আসামি ১ জন, মহিলা ১২২ জন। বিদেশিদের মধ্যে, মায়ানমারের ২৩০ জন, ও থাইল্যান্ডের ৫ জন। ময়মনসিংহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহ কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৭০০ জন, বন্দি রয়েছে, সাড়ে ৩ হাজার। বরিশাল কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৬৩৩ জন, কিন্তু বন্দি রয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা ৬০৮ জন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত বন্দি ছিল ১ হাজার ৩৮১ জন। বগুড়া অফিস জানায়, এখানকার জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা ৯৫০ জন। বন্দি রয়েছেন, ২ হাজার ৫০০ জন।
রাজশাহী অফিস জানায়, বিভাগের ৮টি কারাগারে ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ১৬৪ জন। গত বুধবার পর্যন্ত বন্দি ছিল ১০ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৬৪০ জন, বন্দি রয়েছে ২ হাজার ৯২৩ জন। বগুড়ায় ধারণক্ষমতা ৭২০জন, বন্দি রয়েছে ২০৩০জন। পাবনায় ধারণক্ষমতা ৫৭১ জন, বন্দি রয়েছে ১ হাজার ১৮২ জন। নওগাঁয় ধারণক্ষমতা ৫৮৭ জন, বন্দি রয়েছে ৮৯৭ জন। সিরাজগঞ্জে ধারণক্ষমতা ২০০ জন, বন্দি রয়েছে ১ হাজার ১৩০ জন। নাটোরে ধারণক্ষমতা ২০০ জন, বন্দি রয়েছে ৭৪২ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধারণক্ষমতা ১৫১ জন, বন্দি রয়েছে ৭০৮ জন। জয়পুরহাটে ধারণক্ষমতা ২৭৩ জন, বন্দি রয়েছে ৪২৯ জন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ অবস্থার কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ধারনক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি। তাই কারা কর্তৃপক্ষ এখন কারাগারের ভেতরে বিভিন্ন গোডাউন, বড় সেলের বারান্দা, এমনকি যেসব সেলের বাথরুম ও বড় সেগুলোকেও সেল বানিয়ে বন্দি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে বন্দিদের। ভারসাম্য রক্ষার্থে মাঝেমধ্যে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে বন্দি অদল-বদল করা হচ্ছে।
অবশ্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীর মতে, ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বন্দি হলেও সংস্থানে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। এই কারাগারে এক সময় ১২ হাজার বন্দি থাকার রেকর্ডও আছে। বন্দির সংখ্যা নির্দিষ্ট একটি মাত্রায় রাখাতে সপ্তাহে দু’দিন বন্দিদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ ও পার্ট-২ এ পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
কারাগারে খাবার সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা জানান, আসামির সংখ্যা দিগুণ বা তিনগুণ হলেও বন্দিদের খাবারের বরাদ্দ সেভাবে বাড়ানো হয়নি। ফলে মাছের স্থলে সবজি, শিমের জায়গায় আলু দেয়া হচ্ছে বন্দিদের। রুটি, সবজি, ডালও সরবরাহ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় কম।
কারা অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে বন্দির বেশি চাপ পড়ছে ঢাকা, কাশিমপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার কারাগারে। রাজনৈতিভাবে তুলনামূলক স্থিতিশীল জেলার কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার মধ্যেই আছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, গত ৪ বছরে বিএনপির ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার পরিমাণও কয়েক হাজার। এসব মামলায় আসামি কয়েক লাখ। বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য দলেরও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। জামায়াতে ইসলামীর মতে, গত ৪ বছরে দলের ২১ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। দেড় হাজার মামলায় জামায়াতের ২ লাখেরও বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এদিকে অতিরিক্ত বন্দি থাকার কারণে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের রাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কারাঅভ্যন্তরের নিরাপত্তা চৌকিও।
কারা সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত বন্দি থাকায় বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র শীতে বন্দিদের দুর্ভোগ বাড়ছে। বিশেষত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কারাগারে তাদের দুর্গতি বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বন্দিরা নানা রোগে আক্রান্ত হলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়ের। ভুক্তভোগী বন্দিদের থেকে জানা যায়, কারাগারে প্রথম দিকে কয়েকদিন ধরে ঘুমানোর সুযোগই মেলে না। এমনকি পাওয়া যায় না দুই বেলা খাবার। ফলে পরিবার থেকে টাকা নিয়ে কারা কর্মচারীদের ‘দাবি’ মেটাতে পারলেই কিঞ্চিত স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে, ওদের টাকা না দিতে পারলে কারারক্ষীদের নির্যাতন ভোগ করতে হয়। প্রতিবাদ জানালে নির্যাতন বেড়ে যায়।
সম্প্রতি জামিনে বের হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন্দি জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩শ’র মতো বন্দির জন্য রয়েছে একটি টয়লেট। তাতে সকাল থেকেই থাকে লম্বা লাইন। একজনের থাকার জায়গায় থাকতে হয় ৫ জনকে। তিনি বলেন, সব ওয়ার্ডেই এখন ইলিশ ফাইল করে বন্দিদের রাখা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে বন্দিদের মধ্যে একটি বড় অংশ রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলের সমর্থক। যে কারণে প্রতিদিন গ্রেপ্তার হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু জামিনের ব্যাপারে কোন সুরাহা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, রাজনৈতিকভাবে আটক এসব দলীয় নেতাকর্মীদের জামিন কিংবা আইনি সহায়তার ব্যাপারে দলীয় আইনজীবী এবং লিগ্যাল এইড কমিশন আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ক্ষতিগ্রস্তদের দলের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে লাগামহীন বাণিজ্যে নেমেছেন পুলিশ ও কারাগারের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। জামিন পেলেও রেহাই পাচ্ছে না বন্দিরা। পেন্ডিং মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে জামিন পাওয়া আসামিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে জামিনে মুক্তি পাওয়া বন্দিরা পেন্ডিং মামলা আতঙ্কে ভুগছেন। কারাগারগুলোর সামনে পুলিশের সিভিল টিমের দুর্নীতিবাজ সদস্যরা কারা কর্মচারীদের সহযোগিতায় জামিনপ্রাপ্ত বন্দিদের আবার আটক করে সাজানো পুরনো ভাঙচুর, আগুন, বিস্ফোরকদ্রব্যসহ নানা অভিযোগে মামলায় ঢুকিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিন্ডিকেটের দাবি অনুযায়ী টাকা দিতে পারলে সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *