কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের গণভবন ঘেরাওয়ের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়, জীবনে এমন কিছু অপ্রিয় কাজ আছে যা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য করতে হয়। এখন দেশব্যাপী গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে সেটি আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যত গঠনের জন্যই।
আজ যে আওয়ামী লীগ মায়া কান্না দেখাচ্ছে ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাবে তারা যখন বিরোধী দলে ছিল তখন নায্য কোন কারন ছাড়াই পরীক্ষার সময় দিনের পর দিন হরতাল দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা সেটি বেমালুম ভুলে গেছে। তার অর্থ হল আওয়ামী লীগ নিজ স্বার্থ চরিতার্থের জন্য যতটা সম্ভব নীচে নামতে পারে। তারা মিথ্যাবাদী, তারা প্রতারক। বিবৃতিতে বলা হয়, যেখানে গনতন্ত্র অনুপস্থিত থাকে সেখানে শিক্ষাজীবন পরবর্তী জীবন আরও দুর্বিষহ। আজ আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ না করলে চাকরি হয় না।
ব্যাংকসহ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লুটপাট করে তারা দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি নূন্যতম মায়া থাকত তাহলে অনেক আগেই পদত্যাগ করে একটি গনতান্ত্রিক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করত। কিন্তু তারা ক্ষমতার মোহে এতটাই আচ্ছন্ন যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য এখন তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছে। তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও পরিক্ষার্থীদের উচিত গণভবন ঘেরাও করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করা। নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা ছাত্ররাজনীতি করি।
শিক্ষার্থীরাই আমাদের কাছে সবচেয়ে অগ্রগন্য। আমাদেরও ভাই-বোন ও আতœীয়-স্বজন অনেকেই পরীক্ষার্থী। আমরাও সঠিক সময়ে পরীক্ষা হওয়ার পক্ষে। কিন্তু এই সরকার যখন পরীক্ষার্থীদেরকে হাতিয়ার বানিয়ে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামকে নির্বাসনে পাঠিয়ে স্থায়ীভাবে একটি অবৈধ ও অগনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সাধারন মানুষের ভোটের অধিকারকে চিরদিনের জন্য কেড়ে নিতে চায়। তখন কি আর বসে থাকা যায়? শিক্ষার্থী ও পরিক্ষার্থীদেরকে সতর্ক করে ছাত্রদল বলেছে, সরকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কর্মী বাহিনীর মত ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সদা সতর্ক থাকতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি, এই অবৈধ সরকারের কিছু দুষ্কৃতিকারী অনেক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে মানব বন্ধনের নামে নিয়ে এসে দলের কর্মী বাহিনীর মত ব্যবহার করছে। অনেক স্কুল-কলেজকে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে এসে মানব বন্ধনে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এদিকে পৃথক বিবৃতিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, ছাত্রদল নেতাদেরকে হত্যার মিশনে নেমেছে সরকার। তারা সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে হত্যা, দমন-পীড়র আর গ্রেপ্তার বন্ধ করে পদত্যাগ করুন এবং জাতিকে স্বস্তি দিন। অন্যথায় করুন পরিনতি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত হউন।
আতিক/প্রবাস