দায় দেনার ব্যাপারে গ্রিসকে অপমান না করার জন্য জার্মানির প্রতি আহ্বান

দায় দেনার ব্যাপারে গ্রিসকে আর অপমান না করার জন্য জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গ্রিসের অর্থ মন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিস।
গ্রিসের ৩২৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পর্যালোচনার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার জার্মান প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের আগ দিয়ে বার্লিনের প্রতি এই বার্তা দিলেন গ্রিক অর্থমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক দায় দেনার বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনার বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন লাভের আশায় বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাজধানী সফরে বের হয়েছেন গ্রিসের নতুন অর্থমন্ত্রী।

গ্রিসের বর্তমান আর্থিক দুরাবস্থাকে দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী জার্মান অর্থনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে তুলনা করে জার্মানির এআরডি টেলিভিশনকে ইয়ানিস ভারোফাকিস বলেন, আমি মনে করে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানরাই এই সাধারণ কথাটি সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝবে।

তিনি বলেন, যদি আপনি একটি গর্বিত জাতিকে খুব বেশি সময় ধরে অপমান করতে থাকনে এবং টানেলের শেষ মাথায় আলোর রেখা না দেখিয়ে অর্থনৈতিক ব্যাপারে তাদের খুব বেশি সময় উদ্বিগ্ন রাখেন, তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করবে।

অর্থনৈতিক দুর্দশায় আক্রান্ত গ্রিসের আন্তর্জাতিক ঋণের পরিমাণ ৩২৩ বিলিয়ন ইউরো। জানুয়ারিতে নির্বাচিত গ্রিসের নতুন সরকার এই ঋণ নতুন করে পর্যালোচনার জন্য ঋণদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।

তবে ইউরোজোনের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানি এর প্রবল বিরোধিতা করছে। সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাংগেলা মের্কেল গ্রিসের ঋণ মওকুফের কোনো সম্ভাবনাকে বাতিল করে দেন। বর্তমানে এই ঋণ গ্রিসের মোট জিডিপির ১৭৫ শতাংশ।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে কোনো গ্রিক বন্ড গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক। এ পরিস্থিতিতে নগদ অর্থের সঙ্কটে পড়েছে গ্রিসের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রিসের স্থানীয় ব্যাংকগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কমপক্ষে দশ বিলিয়ন ইউরোর তরল অর্থ সরবরাহ করতে হবে তাদের।

তবে বিকল্প তহবিল লাভের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে গ্রিসের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তাদের দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম বিকল্প অর্থায়নের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে।

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অ্যালেক্স সিপরাসের নেতৃত্বাধীন বামপন্থি সিরিজা পার্টি গ্রিসের ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের আগে গ্রিসের বর্তমান দায় দেনাকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কথিত ‘বেইল আউট’ কর্মসূচির বাস্তবায়নে গ্রিসের ওপর দাতা সংস্থাগুলোর চাপিয়ে দেয়া কঠিন শর্ত পালন না করার অঙ্গীকার করেছিলো তারা।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *