উশকোখুশকো চুল! আছে ঘরোয়া সমাধান।
সাধারণ কিছু উপায় আর টোটকা অগোছালো চুল সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
টিভি সিরিজ প্রোজেক্ট রানওয়ে খ্যাত হলিউডের সেলিব্রেটি হেয়ার স্টাইলিস্ট নাথানিয়েল হকিন্স, রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে অবাধ্য চুল বাধ্য করার কিছু সহজ পদ্ধতি বাতলানোর পাশাপাশি রুক্ষ চুলের জন্য ঘরোয়া কিছু কন্ডিশনার তৈরির উপায় জানান।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন
চুল পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। আর এর জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করতেই হয়। তবে শ্যাম্পু করার সময় চুলের এবং মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়। অথবা প্রতিদিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিপ কন্ডিশনার
যাদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, তাদের উচিত প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করা। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং চুল নমনীয় হবে। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
তোয়ালে দিয়ে বেশি ঘষা নয়
গোসলের পর প্রায় সবাই তোয়ালে দিয়ে চুল মোছেন। তবে বেশি ঘষলে চুলের গোড়া বা কউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বরং পানি শুষে নেয় এমন তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে চেপে চেপে চুল থেকে পানি শুকানো উচিত। অথবা কয়েক মিনিট তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখলেও পানি শুষে নেবে।
চুলের সুরক্ষা
বিভিন্ন হেয়ার স্টাইলিং মেশিন, যেমন- হেয়ার স্ট্রেইটনারের অতিরিক্ত তাপ চুলের ক্ষতি করে। তখন চুল আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই হেয়ারস্টাইলিং টুল ব্যবহার করার আগে চুলে হেয়ার প্রোটেক্টিং স্প্রে লাগিয়ে নেওয়া উচিত।
অ্যালকোহল বিহীন পণ্য
বেশিরভাগ হেয়ার স্প্রে, মুজ ইত্যাদিতে অ্যালকোহল থাকে। যা মাথার চামড়ার ক্ষতি করে। তাই চুলের জন্য পণ্য কেনার আগে অ্যালকোহল নেই এমন প্রসাধনী বেছে নিতে হবে।
রুক্ষ চুলের ঘরোয়া কিছু পরিচর্যা
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার : যাদের চুল কিছুটা কোঁকড়া এবং শুষ্ক তাদের চুল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের জুরি নেই।
চুলে শ্যাম্পু করার পর পানি এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার সমপরিমাণে মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই ভিনিগার নমনীয় রাখার পাশাপাশি চুলে আলাদা চকচকে ভাব আনবে।
মেয়োনাইজ ও অ্যাভাকাডো কন্ডিশনার: পুষ্টি জুগিয়ে চুল নমনীয় রাখতে দারুণ কার্যকর অ্যাভাকাডো এবং মেয়োনেইজ।
এক কাপ মেয়োনেইজের সঙ্গে অর্ধেক অ্যাভাকাডো পেস্ট করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। খুব ভালোভাবে মিশে গেলে মিশ্রণটি পুরো চুলে ও গোড়ায় লাগিয়ে একটি প্লাস্টিক ক্যাপ দিয়ে চুল আটকে রাখতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সপ্তাহে একদিন ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।
তেলের মিশ্রণ মালিশ: চুলে তেল ব্যবহার করতে অনেকেই অপছন্দ করেন। তবে চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তেলের জুড়ি নেই। তাই সপ্তাহে একদিন চুলে এবং মাথার তালুতে তেল মালিশ করা উচিত।
সম্ভব হলে নারিকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি এমন কয়েকটি তেলের মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগানো যেতে পারে।
কয়েক ধরনের তেল এক সঙ্গে মিশিয়ে চুলে এবং গোড়ায় লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চেপে পানি ফেলে চুল ভালোভাবে পেঁচিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। মাঝে আবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চুলে জড়িয়ে নিন।
আধা ঘণ্টা শেষে শ্যাম্পু করুন।
Ali Akbor Rajon liked this on Facebook.
Jcd Sixtyeight Dhaka South liked this on Facebook.
এ.কে সাদী liked this on Facebook.
Ali Akbor Rajon liked this on Facebook.
Jcd Sixtyeight Dhaka South liked this on Facebook.
এ.কে সাদী liked this on Facebook.