মানিক হোসাইন
একসময় চোর পুলিশের খেলার খুব প্রচলন ছিল,সেটি তুরুকের তাস না হলেও ধরন টা বেশ এমনি ছিল। পাড়া মহল্লায় বেশ জনপ্রিয় ছিল খেলাটি। আজ সেটি বিপন্ন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেই চোর পুলিশ খেলা আবারো দেখা যাচ্ছে। তবে সেটি আগের রুপে নেই। বর্তমানে ধরন চেঞ্জ হয়ে ভিবিন্ন উপায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিগত ৩রা জানুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ তার কার্যালয়ে। একেক বার একেক রকমের কৌশল নিয়ে বিএনপি এই নেত্রীকে নাজেহাল করতে চেষ্টা ছালায় হাসিনা সরকার। কিন্তু খালেদা জিয়ার মনোবল শক্ত থাকায় কোন কৌশল সরকারের ভাণ্ডারে জমা পড়েনি। পুলিশ বাহিনী সহ র্যাব ডিবি পুলিশ বার বার অবস্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বাঁধা সহ নানা ধরনের নাজেহাল করেন। এই নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে দলের তৃণমূল থেকে স্থায়ী কমটির।তবে সরকার বার বার বলে আসছিলেন এইসব অভিযোগ মিথ্যা। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার নতুন কৌশল হিসেবে সরকার তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের অস্র সহ সেখানে হুমকি ও এসএসসি পরীক্ষাটি দের অবস্থান কর্মসূচী করতে বাধ্য করেছেন। গতকাল সেখানে অবস্থান কর্মসূচীর এক শিক্ষার্থীর বাবা কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,আমরা আমাদের সন্তানের জীবন হুমকির মুখে দিতে চাইনা, কিন্তু সরকার আমাদের বাধ্য করছেন আমরা যেন আমাদের সন্তানদের পরিক্ষা কেন্দ্রে দেই। গুলশান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ রাসেল কে প্রস্ন করা হলে তিনি বলেন,আমি জানিনা কেন আজ আমাকে এইভাবে দাড় করে রাখা হয়েছে। স্যার বলছেন যদি না আসি তাহলে আমার রেজিঃ বাতিল করা হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, নেত্রীকে নিয়ে তারা খুব সংকিত। তারা এও বলছেন,বেগম জিয়ার কিছু হলে এই দায়বার সরকার কে নিতে হবে। এই রিপোর্ট লেখার কিচ্ছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ডিবি সহ পুলিশের কয়েকটি গাড়ি অবস্থান নিয়েছেন। আবার পরবর্তী কালে শূনতে পেলাম তারা নাকি অবস্থান ত্যাগ করেন। সরকারের এইসব চোর পুলিশ খেলা আর কতদিন চলবে এখন শুদু সবার প্রশ্ন!
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার যদি জরুরী প্রদেক্ষেপ না নেয়, তাহলে জনজীবন বিপন্ন সহ দেশ হুমকির মুখে পড়তে পারেন বলে মত দিয়েছেন অনেকে।
Rasul Nimer liked this on Facebook.
Rasul Nimer liked this on Facebook.