ঢাকা: কাতার যাওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না কুমিল্লার রাশেদুল ইসলামের (২৬)। পেট্রোল বোমায় দগ্ধ রাশেদুল দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
বুধবার বেলা ৫টার কিছু পরে তিনি মারা যান। তার শরীরের ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়েছিলো। নিহতের ছোট ভাই আফসার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রাশেদুল ইসলামের চাচা মো. ইউসুফ (৪৫) ও প্রতিবেশী আবু তাহের (৪৫) ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা গেছেন। তাদেরও কাতার যাওয়ার কথা ছিলো। এছাড়াও রাশেদুলের আরেক চাচা মো. হানিফও দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আফসার জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার পহড়চলা গ্রামে। তার বাবার মৃত সৈয়দ আহমেদ।
রাশেদুলের কাতার যাওয়ার কথা ছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে ফ্লাইটে উঠিয়ে দেয়ার জন্যই আমরা ঢাকায় আসছিলাম। কিন্তু আমাদের বাসটি কুমিল্লা পৌঁছাতেই দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে। মুহূর্তে বাসে আগুন লেগে যায়। এসময় আমিসহ কয়েকজন জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। কিন্তু বড় ভাই রাশেদুল এসময় ঘুমাচ্ছিলেন। এজন্য তিনি আর লাফ দিতে পারেননি।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগমোহনপুর এলাকায় গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে যাত্রীবাহী আইকন পরিবহণের বাসে পেট্রোলবোমা ছোঁড়া হয়। এ সময় বাসের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন অনেকেই। ঘটনায় আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা-মেয়ে, মা-ছেলেসহ সাতজন। আহত হন আরও অন্তত ২৮ বাসযাত্রী।
মোঃ শহিদুল আলম liked this on Facebook.
মোঃ শহিদুল আলম liked this on Facebook.