বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘তল্লাশি ও গ্রেফতার’ অভিযান শুরু করতে পারে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ শনিবার সন্ধ্যার পর অথবা রাতেই হতে পারে এ অভিযান। সেখান থেকে যাত্রাবাড়ীতে পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার একাধিক আসামিকে গ্রেফতার করার চিন্তা আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে ওই মামলার হুকুমের আসামি খালেদা জিয়াকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হবে কি-না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারি দলের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ আভাস মিলেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন একাধিক মহিলা দলের নেত্রী। এছাড়া রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, প্রেসউইংয়ের দুই সদস্য শামসুদ্দীন ও শায়রুল কবির খান। বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের এই ৪ সদস্যও যাত্রাবাড়ীর পেট্রোলবোমা হামলা মামলার আসামি।
মূলত: তাদের গ্রেফতার করতেই খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হবে। এ সময় কার্যালয়ের ভেতর থাকা মহিলা দলের কয়েকজন নেত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হতে পারে।
সূত্রমতে, দুটি নতুন মামলার হুকুমের আসামি হলেও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। তবে তাকে গ্রেফতার করা না হলেও যে কোনও কৌশলে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার গভীর রাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ইন্টারনেট ও ডিসের লাইনও কেটে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানকার প্রতিটি কক্ষেই নিবিড় তল্লাশি চালানো হবে। বিএনপির কোনও পর্যায়ের নেতা কিংবা কার্যালয়ের স্টাফরা কার্যালয়ে অবৈধ কিছু রেখেছেন কি-না, তাও অনুসন্ধান করা হবে। এছাড়া খালেদা জিয়াকে বাসায় ফেরাতে পারলে গুলশান এলাকার নিরাপত্তার ‘অজুহাতে’ কার্যালয়ের ফটক তালাবদ্ধ করে দিতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।ওয়ান নিউজ
আতিক / প্রবাস