সন্তুর সঙ্গে সংলাপ হলে খালেদায় সমস্যা কী?

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে আপনি সন্তু লারমার সঙ্গে সংলাপ করতে পারেন কিন্তু দেশের শান্তির জন্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসতে সমস্যা কোথায়?’ একইসঙ্গে তিনি বিএনপিকেও তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে সংলাপের পথে আসার আহ্বান জানান।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গুড গভর্নেন্স ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বি চৌধুরী বলেন, ‘এ সরকারের সঙ্গে সংলাপ একটি দুরহ ব্যাপার। একমাত্র জনগণ ফুঁসে উঠলেই সংলাপ হতে পারে।’

সংলাপ কীভাবে হবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে সংলাপের প্রয়োজন নেই। সরকারই যদি সংলাপের প্রয়োজন অনুভব না করে তাহলে তো সংলাপ সম্ভব নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নইলে এ যুদ্ধে জয় আসবে না।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রশাসন রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে। শুধু তাই নয় খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে মন্ত্রীরা যেসব হাস্যকর বক্তব্য দিচ্ছেন তা লজ্জাজনক।’

সেমিনারে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করেও সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না।’

দুই নেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপের বিকল্প নেই। সংলাপ না করলে কঠিন পরিণতির জন্য আপনারা অপেক্ষা করুন।’

মান্না বলেন, ‘সংলাপে সমস্যার সমাধান না করলে এমন এক শক্তি ক্ষমতায় আসবে যা আপনারা কেউ পছন্দ করবেন না। কিন্তু জনতা তাদেরকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু এটা আমাদের কাম্য নয়। আমরা চাই সংলাপের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হোক।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুপ্রিমকোর্টের সাবেক রেজিস্টার ইকতেদার আহমদ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি সিকদার মকবুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী মিজানুর রহমান শেলী, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া প্রমুখ।

৭ thoughts on “সন্তুর সঙ্গে সংলাপ হলে খালেদায় সমস্যা কী?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *