আগুন লেগেছে বাজারে। এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা। বাজার অনেকটাই ক্রেতা শূন্য হয়েছে শুধু দামের তারতম্যের কারণে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বেড়েছে যে নিম্ন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে চলে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পারিবারিক খাদ্য ব্যবস্থাপনায়।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান, মালিবাগ, সোয়ারিঘাট বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজারে প্রতি কেজি শাক সবজির দাম ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইভাবে বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার মাছ-মাংসের দাম।
গত দুই দিনের তুলনায় আজ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ খুবই কম। বিক্রেতা বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে আমদানি কম থাকায় জিনিসপত্রের দামে বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আলু ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা হয়েছে, করলা যেখানে গতকালও ৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে তা আজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। পটল ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ওল কপি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, বাঁধা কপি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা , ডিমের হালি ৩৮ টাকা থেকে ৪২ টাকা, গুরুর মাংস প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, যে কোনো ধরনের মাছে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যসব খাদ্য পণ্যের দাম।
শাহজানপুর রেল গেটের সিটি করপোরেশনের বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, টানা অবরোধ-হরতালের কারণে শাক-সবজি মাছ মাংস আসতে পারেনি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে।
তিলপাপাড়ার ক্রেতা জসিম খানিকটা রেগে গিয়ে বলল, দেশে সাধারণ মানুষের কোনো মূল্য নেই। রাজনীতিবিদরা যা খুশি তাই করে। কোন সিস্টেম নেই, কোন নীতি নেই।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি- জামায়াতের ২০ দলীয় জোট। দেশে রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না থাকলেও শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অবরোধের মতো আল্টিমেটাম দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। এমন অভিযোগ শাহজাহানপুরের বাসিন্দা রহমানের।