নেইমারের জোড়া গোলে সেমিতে বার্সা

স্প্যানিশ কাপের সেমি-ফাইনালে আগেই এক পা দিয়ে রাখা বার্সেলোনা শেষ আটের ফিরতি লেগেও আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছে। বুধবার রাতে নেইমারের জোড়া গোলে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।


এই মাসে আতলেতিকোর বিপক্ষে বার্সেলোনার এটা তৃতীয় জয়। গত ১১ জানুয়ারি লা লিগায় ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।

শেষ চারে উঠতে আতলেতিকোর সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। সে লক্ষ্যে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। বার্সেলোনার রক্ষণের সামান্য ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ফের্নান্দো তরেস।

Atletico Madrid's Fernando Torres celebrates his goal during their Spanish King's Cup soccer match against Barcelona.JPGনিজেদের ডি বক্সের সামনে থেকে মাঝ মাঠ বরাবর লম্বা করে বল বাড়িয়েছিলেন অতিথি ডিফেন্ডার মাসচেরানো। কিন্তু বল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। মুহূর্তের মধ্যে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গিলেরমে সিকুইরার পা ঘুরে বার্সেলোনার ডি বক্সের সামনে বল পান তরেস। স্পেনের এই স্ট্রাইকারের ঠাণ্ডা মাথায় নেয়া শটটি বাঁ দিকের পোস্টে লেগে জালে ঢুকে যায়।

দ্বিতীয় মেয়াদে এই মাসেই আতলেতিকোয় ফেরার পর তরেসের এটা তৃতীয় গোল। সেরা ষোলোর ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বার্সেলোনা ম্যাচে ফিরতে অবশ্য একটুও দেরি করেনি। নবম মিনিটেই সমতা ফেরান নেইমার। গোলটিতে ভালো অবদান ছিল আক্রমণভাগের অন্য দুই তারকা লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেসের।

Barcelona's Neymar (L) celebrates next to team mate Lionel Messi after scoring a goal against Atletico Madrid.JPGNeymar.jpgমাঝ মাঠের আগে থেকে মেসির বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সুয়ারেস দ্রুততার সঙ্গে নেইমারকে পাস দেন। আর ক্ষিপ্র গতিতে অনেকটা দৌড়ে পিছনে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের বাধা এড়িয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলের এই তারকা।

৩০তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আতলেতিকো। মাসচেরানো নিজেদের ডি বক্সে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার হুয়ানফ্রানকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আতলেতিকো। তা থেকেই গোলটি করেন স্পেনের মিডফিল্ডার রাউল গার্সিয়া।

আট মিনিট পরেই নিজেদের ভুলে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় আতলেতিকো। তাদের ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মিরান্দার আত্মঘাতী গোলে দ্বিতীয়বারের মতো সমতায় ফেরে বার্সেলোনা।

এর তিন মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করে শেষ চারের টিকেট একরকম নিশ্চিতই করে ফেলেন নেইমার। পাল্টা আক্রমণ থেকে স্পেনের ডিফেন্ডার জরদি আলবার দারুণভাবে বাড়ানো বল ছোট ডি বক্সের মধ্যে আলতো ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন দারুণ ফর্মে থাকা ব্রাজিলের এই তারকা।

প্রথমার্ধ শেষে ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে আতলেতিকোর মিডফিল্ডার গাবিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে এক জন কম নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামে স্বাগতিকরা।

দুই দুইবার এগিয়ে গিয়েও শেষে পিছিয়ে পড়ার হতাশাতেই হয়তো বিরতির পর কিছুটা মেরে খেলতে শুরু করে আতলেতিকো। ফলে শেষ ৪৫ মিনিটে তাদের ৬ জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

তাছাড়া ৮৪তম মিনিটে স্পেনের মিডফিল্ডার মারিও সুয়ারেস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ৯ জনের দলে পরিণত হয় তারা।

দ্বিতীয় অর্ধে তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি কোনো দল। ফলে প্রথমার্ধের স্কোরেই জয়ে হাসিতে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

৪ thoughts on “নেইমারের জোড়া গোলে সেমিতে বার্সা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *