একটি পদ্মা সেতুর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে

সাংবাদিক ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান বলেছেন, একটি পদ্মা সেতু নিয়ে আমরা পাঁচ বছর আলোচনা করেছি। কিন্তু গত ২৩ দিনে একটি পদ্মা সেতুর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলায় নিউজ আওয়ার এক্সট্রা টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি। মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় এতে সংযুক্ত হয়েছিলেন সংবিধান প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীক এমপি, সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর। সোহরাব হাসান আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ শান্তি চায়। আমি মনে করি যারা ক্ষমতায় আছে তারাও শান্তি চান। না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি কেন? বিরোধী দলও শান্তি চায়। কিন্তু শান্তি হচ্ছে না কেন? এ সন্ত্রাস, আগুনে পোড়া অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। এর দায়িত্ব যারা কর্মসূচি ডেকেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের। আমরা যদি নিরাপত্তা না পাই তবে সে কথা জোর গলায় বলব। সেটা সমাবেশ করে হতে পারে, অনশন করে হতে পারে। সেই নেতৃত্বই বিচক্ষণ নেতৃত্ব যারা মানুষের আকাক্সক্ষা বুঝবে। শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেলেন সমবেদনা জানাতে। গেট খোলা হবে এটিই মানুষের আকাক্সক্ষা ছিল। সে আকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি বলেই বিএনপির নেতা-কর্মীরাও আহত হয়েছেন। কিন্তু তারা হয় তো বলতে পারেননি। সমস্যাটি রাজনৈতিক। এ সমস্যার দুইভাবে সমাধান হতে পারে। আলোচনার টেবিলে অথবা মাঠে। মাঠে যত ফয়সালা হয়েছে তাতে দেশকে, মানুষকে বেশি ক্ষতির শিকার হতে হয়। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেত্রীর সন্তান মারা গেলে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। দেশের সব গণমাধ্যম এতে সমর্থন করেছে। রাজনীতিকে বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এ সমবেদনা আমরা সাংবাদিকরা যখন এ কথা বলি তখন কেউ এটাকে দলীয় বলে না। কিন্তু যখন পুলিশ ক্রসফায়ার করে, বল প্রয়োগ করে, বিএনপি যখন আন্দোলনের নামে বাস পোড়ায়, পেট্রলবোমা মেরে বার্ন ইউনিটে পাঠায় এসব প্রকাশ করলে বলা হয় সাংবাদিকরা পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

২ thoughts on “একটি পদ্মা সেতুর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *