হাইকোর্টের কার্যতালিকায় গ্যাটকো মামলা

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা সচল করতে হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি আজকের কার্যতালিকায় এসেছে।

বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে বুধবারের কার্যতালিকতায় ১৬ নম্বরে রয়েছে মামলাটি।

২০০৮ সালে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় দায়ের করা খালেদা জিয়ার রিটের পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটি কেন বেআইনী ও কর্তৃত্ব বহির্ভুত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে সময়ে সময়ে ওই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ও নাশকতার দুটি ,মামলা দায়ের করা হয়েছে ঠিক তখনই সাত বছরের পুরনো মামলা সচলের উদ্যোগ নিলো দুদক।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান মঙ্গলবার এ আবেদনটি  দায়ের করেন। সোমবার গ্যাটকোর দুর্নীতি নিয়ে দায়ের করা মামলাটি পরিচালনার জন্য দুদকের পক্ষে থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট খুরশদি আলম খানকে । এর আগে এ মামলার আইনজীবী ছিলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী মতিঝিল থানায় খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও কমলাপুরের কন্টেইনার টার্মিনালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য মেসার্স গ্লোবাল এগ্রোটেড লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করা হয়েছে।

এরপর ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্র দায়েরের পর মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটি কেন বেআইনী ও কর্তৃত্ব বহির্ভুত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম দুইমাসের জন্য স্থগিত করা হয়, সময়ে সময়ে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।

৫ thoughts on “হাইকোর্টের কার্যতালিকায় গ্যাটকো মামলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *