পেশোয়ারের শিক্ষকরা আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন

ঢাকা: পাকিস্তানে পেশোয়ারের স্কুলে তালেবানের গণহত্যার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। হামলায় ১৩২টি তরতাজা শিশু নিহতের ক্ষত এখনো পাকিস্তান তো বটেই বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে আছে। তাইতো ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা ঠেকাতে সবকিছুই করে যাচ্ছে পাক সরকার।

এরই ধারাবাহিকতায় পেশো্য়ারের খাইবার পখতুন রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অস্ত্র চালানো প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ক্লাসরুমে এসব শিক্ষকদের অস্ত্র হাতে দেখা যাবে। কারণ সরকার ক্লাসরুমে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

১৬ ডিসেম্বরের ওই হামলায় ১৫০ জন নিহত হয়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কেপি জানান, প্রত্যেক শিক্ষকের ক্লাসরুমে আগ্নেয়াস্ত্র বহন বাধ্যতামূলক না হলেও যারা চাইবেন নিয়ে যেতে পারবেন।

রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী মুশতাক গণি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ৩৫ হাজার স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির নিরাপত্তায় আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। একারনেই শিক্ষকদের আগ্নেয়াস্ত্র বহনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে প্রাইভেট স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মালিক খালিদ খান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এক হাতে কলম আরেক হাতে অস্ত্র নিয়ে কিভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব?

তিনি বলেন, অস্ত্র ধরা আমাদের কাজ নয়। বই পড়ানোই আমাদের কাজ। শিক্ষকদের হাতে অস্ত্র থাকলে শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তার পরামর্শ, সরকারের পুলিশের অভাব হলে ভাড়া করে নিয়ে আসতে পারে। শিক্ষকদের দিয়ে নিরাপত্তা নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.