সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা জানাজায় চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়।
ঢাকার বাযতুল মোকাররমের জানাযায় কিংবা চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ’র গায়েবা জানাজায় দলের অন্য কোনো নেতা গেলেন না, এমনকি চট্টগ্রামের জানাজাটিতে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ ও মাঝারি নেতাও থাকলেন না, কিন্তু মহিউদ্দিন চৌধুরী থাকলেন ওই জানাজায়, এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই কী মহিউদ্দিন চৌধুরী এই জানাজায় অংশ নিলেন? নাকি কেন্দ্রের কোনো সবুজ সংকেতে এমনটি ঘটল?-এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের রাজনীতি সচেতনদের মাঝে।
একদিন আগেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ স্পষ্টই জানিয়ে দেন যে, কোকোর জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চট্টগ্রামের দায়িত্বশীল অন্যনেতারাাও এটি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আ জ ম নাছির, এম এ সালাম ও মোসলেম উদ্দিন আহমদ; এ তিন নেতার কেউই কোকোর জানাজায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন।
এই নিয়ে কোনো ‘সবুজ সংকতে’র বিষয়টিও উড়িয়ে দেন তারা। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও চট্টগ্রামের জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম উপরন্তু বললেন ‘গায়েবানা জানাজা নাজায়েজ। তাই যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।’
উল্লেখ্য, সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানাভাবেই আলোচনার ঝড় তোলেন। কখনো লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করে ইরাকে মুজাহিদ পাঠানোর ঘোষণা, কখনো বিএনপির আলোচিত নেতা (পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত) সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দাওয়াত করে খাওয়ানোসহ নানা ভাবে আলোচনায় আসেন মহিউদ্দিন। এ ছাড়াও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ প্রস্তাবের’ অভিযোগ, এস এস এ কন্টেইনার পোর্ট বিরোধী অবস্থানে সরকারকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে আলোচনায় সমালোচনায় বিদ্ধ হন চট্টগ্রামের প্রবীণ এই নেতা। আবার দুর্যোগে সংগ্রামে ও সাহসিকতায় দীর্ঘ ভুমিকা রাখা এই নেতা আঞ্চলিক অধিকার ইস্যুতেও সোচ্চার থাকেন।