সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নামাজে জানাজায় আওয়ামী লীগ ও জোটভুক্ত ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ অংশ নিচ্ছেন না। তবে আওয়ামী লীগসহ জোটভুক্ত দলের কেউ কেউ ব্যক্তিগভাবে কোকোর নামাজে জানাজায় অংশ নিতে পারেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এমন আভাস পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা মনে করেন, কোকোর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে যেভাবে খালেদা জিয়ার অফিস থেকে ফিরে আসতে হয়েছে তা তাদের আহত করেছে। এমন অশোভন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ না করলে হয়তো কোকোর নামাজে জানাজায় অংশ নেওয়ার প্রশ্নে দলীয়ভাবেই সিদ্ধান্ত নিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল দলের একাধিক সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী কোকোর নামাজে জানাজায় অংশ নেবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারাও মনে করছেন কোকোর মৃত্যু সংবাদে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতাকে বিএনপির পক্ষ থেকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে তা শিষ্টাচারবহির্ভূত। এ কারণেই কোকোর নামাজে জানাজায় অংশ নিচ্ছেন না তারা। ১৪-দলীয় জোটভুক্ত নেতারা মনে করেন, হরতাল-অবরোধে জনজীবনের নিরাপত্তা নেই। পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় কোকোর জানাজায় শরিক হওয়া সম্ভব হবে না। এ ছাড়া বাম দলের নেতারাও আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কোকোর জানাজায় যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, দেশের যে অবস্থা তাতে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরে আসব তার নিশ্চয়তা নেই। এ অবস্থায় কোকোর জানাজায় যাওয়া সম্ভব হবে না। কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান নিজ দলের কর্মসূচি থাকায় কোকোর জানাজায় যাবেন না বলে জানান। গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম বলেন, হরতাল-অবরোধ মাথায় নিয়ে কোকোর জানাজায় শরিক হওয়া সম্ভব হবে না। এ ছাড়া নিজ দলের কর্মসূচি আছে বলে জানান তিনি।
সুত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন