ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর গুলশান যাওয়া ও তার ফিরে আসা প্রসঙ্গে পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেছেন, ‘আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে বাইরে থেকে নাটক করে চলে আসবেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে বিএফইউজে ও ডিইউজের একাংশের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘একদিকে বেগম জিয়াকে শোক জানাতে গেলেন, অন্যদিকে তাকে মিথ্যা মামলায় হুকুমের আসামি করলেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রী সেখানে তামাশা করতে গেছেন? মিথ্যা মামলার আসামি করা আর শোক জানাতে যাওয়া প্রতারণার শামিল।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে গাজী বলেন, ‘আর আগুন নিয়ে খেলবেন না। শুধু শওকত মাহমুদ নয় বেগম খালেদা জিয়াসহ সকলের মামলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনতিবিলম্বে অর্থবহ আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করুন। না হলে আমরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে বাধ্য হবো। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা আছি এবং থাকবো।’
বিএফইউজের (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ বলেন, ‘সাংবাদিকদের আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন যাতে বাধাগ্রস্থ হয় সেজন্য শওকত মাহমুদকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো। এ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সারাদেশে ৩১ জানুয়ারি পযর্ন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে । ৩১ জানুয়ারির মধ্যেও মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমরা সব পেশাজীবীদের নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি দেব।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সহ-সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ডিইউজের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক বাকের হোসাইন প্রমুখ।