মিশরে সহিংসতায় নিহত ২০

ঢাকা: মিশরে জনপ্রিয় গণ অভ্যুত্থানের চার বছর উদযাপনকালে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে তিনপুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩৫ জন। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ওই গণবিক্ষেভে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছিলেন দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হুসনি মোবারক।

রোববার মিশরের কায়রো, দামানহুর, আলেকজান্দ্রিয়া এবং গিজা শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার কায়রোর ইল-মাতারিয়া জেলায় পুলিশের গুলিতে এক রাজনৈতিক কর্মীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ হয়। তবে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।

এরই জের ধরে রোববার গোটা মিশর জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও গণ অভ্যুত্থানের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে কায়রোসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে আরোপ করা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা। এর মধ্যেই সহিংতার ঘটনা ঘটল। তবে এসব সহিংসতার জন্য বিক্ষোভকারীদের দায়ি করেছে পুলিশ। তারা বলছে, রোববার নীল উপত্যকায় বোমা পুতে রাখার সময় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।

রোববারের সহিংসতার জের ধরে চার শতাধিক লোকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে শনিবার সেন্ট্রাল কায়রোতে মিছিল করার সময় পুলিশের হাতে নিহত হন সমাজবাদী পপুলার অ্যালায়েন্স পার্টির নারী কর্মী সাইমা আল সাবাগ(৩২)। রোববার আলেকজান্দ্রায় তাকে দাফন করা হয়। তার শেষকৃত্যে অংশ নেয়ার সময় দলটির শত শত নেতা কর্মী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মিশরে প্রথমবারে মত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করে ক্ষমতায় আসেন নতুন নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.