বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ কেউ বগুড়ায় দাফনের কথাও বলছেন। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী কোকোর মরদেহের দাফন সম্পন্ন হবে।
গুলশান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছেলে হারানো সংবাদ পেয়ে শোকে মূহ্যমান খালেদা জিয়া। কার্যালয়ে তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা সান্ত্বনা জানালেও তিনি কাঁদছেন অঝোরে। বড় ছেলে তারেক রহমান ফোন দিলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওপাশ থেকে তারেকও হু হু করে কেঁদেছেন। ক্ষণে ক্ষণে কথা বলছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে।
বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার ও কোকোর দুই ফুফা লাশ দেশে আনতে এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার পথে রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কোকোর মরদেহ দেশে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে রোববার বাদ জোহর মালয়েশিয়ায় কোকোর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে তার মরদেহ ইউনিভার্সিটি অব মালয় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ মারা যান আরাফাত রহমান কোকো।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। থাইল্যান্ড যাওয়ার পর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সেখানেই শনিবার তিনি ইন্তেকাল করেন।