ডেস্টিনির প্রতারণা আর আমার এক হাজার পচানব্বই প্রতারিত দিন

বিশ্বাস শব্দটিকে বিশ্বাস করানোর জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়া লাগে।

একজন অন্যজনকে বিশ্বাস করেই বিবাহ করে। আসলেই কি কেউ কারুকে বিশ্বাস করে? বিশ্বাস করে, যে এই বিশ্বাস ভেঙ্গে যেতে পারে তাই বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। বিয়ের সময়ে সাক্ষীরা উপস্থিত থাকে।

অংশীদারী ব্যবসাতে দুইজন অংশীদার আইনের আশ্রয় নেয় এবং ব্যবসাকে রেজিস্ট্রি করে কেউ কারুকে বিশ্বাস করেনা যদি করত তাহলে আইনের আশ্রয় নেওয়া লাগতোনা। বিশ্বাস শব্দটি একটি দুর্বল শব্দ। বাস্তব জগতে “বিশ্বাস” শব্দের কোন মূল্য নাই। যারা প্রতারক তারা জানে এবং খুব ভালভাবে জানে যে “বিশ্বাস” শব্দটি যদি না থাকতো তাহলে তারা প্রতারনা করতে পারতোনা। প্রতারকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন হাতিয়ার হলো “বিশ্বাস” ।

আজ প্রায় সাড়া দিন বসে ডেস্টিনির পুরানা ট্রেনিং ভিডিওগুলো দেখলাম ।
ডেস্টিনির একটি ভিডিওতে একজন প্রশিক্ষক পরিচালক বলছে – আল্লাহ্‌ কে আপনারা বিশ্বাস করেন। কোরআন শরিফের প্রথমেই বলা আছে যারা বিশ্বাস আনবে তারাই আল্লাহর বান্দা — আল্লাহ্‌ যা কিছু বলেছে সব কিছুই বিশ্বাস করতে হবে – এই সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা। আল্লাহ্‌র কোন শরিক নাই কিন্তু বিশ্বাস করতে হবে এই সমস্ত বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌। সব কিছু বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ্‌র অদৃশ্য শক্তিকে বিশ্বাস করতে হবে। ঠিক তেমনি ডেস্টিনির অদৃশ্য পন্যকে বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে লোক ঠগিয়ে ডেস্টিনি বহু টাকা মেরে দিয়ে একদিন উধাও হবে । লোকে যাতে ডেস্টিনির ফাঁদে পা দেয় সেইজন্য জাকজমকপূর্ন আয়োজন করা হয়েছিল, স্যুট টাই পড়া এক্সিকিউটিভের লেকচারের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বাস করানই ছিল ডেস্টিনির পুঁজি । রুটি রুজি।

অন্য একটি ভিডিওতে অন্য একজন প্রশিক্ষক বিদেশের একটি চিড়িয়াখানাতে যেয়ে তার কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছে সে সম্পর্কে বিবরণ দিচ্ছিল। সেই চিড়িয়াখানাতে বাঘের খাঁচার পাশে শুকরের খাঁচা রাখা আছে । বাঘের বাচ্চাকে শুকরের কাছে দুধ খেতে দেওয়া হয়। শুকরের বাচ্চাকে বাঘের কাছে দুধ খেতে দেওয়া হয়। শুকরের বাচ্চা বাঘের দুধ খেয়ে বাঘের মত শক্তিশালী হয় আর বাঘের বাচ্চা শুকরের দুধ খেয়ে শুকরের মত চুপচাপ ভীতু হয়। আর সেকারনেই সেই শুকরের দুধ খেয়ে বড় হওয়া এক বাঘের গলা জড়িয়ে ধরে ডেস্টিনির সেই পরিচালক ও প্রশিক্ষক নিজে ছবি উঠিয়েছে।  স্লাইড শো ‘তে বাংলাদেশের ডেস্টিনির ভবিষ্যৎ ডায়মন্ডদের প্রশিক্ষিত করার সময়ে বাঘের গলা জড়িয়ে ধরে থাকা তার নিজের একটি ছবিটি প্রদর্শিত এই প্রশিক্ষক প্রদর্শন করে। এই বাঘ যদি শুকরের দুধ পান করে বড় না হতো তাহলে ডেস্টিনির সেই প্রশিক্ষক তার গলা জড়িয়ে ধরে ছবি উঠাতে পারতোনা। আর ডেস্টিনির প্রতারণা ব্যবসাতে এসে লেকচার দিতে পারতোনা। কারণ এই বাঘ শুকরের দুধ খেয়ে শুকরের মত ঘোত ঘোত করে। বাঘের দুধ খেলে বাঘের মত গর্জন করতো। বাংলাদেশের মানুষ যদি মায়ের দুধ খেয়ে বড় হতো তাহলে ডেস্টিনির প্রতারকদের কাছে ধরা খেতোনা এতগুলো মানুষের টাকা মেরে দিয়ে ওরা পালিয়ে যেতে পারতোনা। এইভাবে এক বিশাল সংখ্যক উৎসাহী তরুনের আর্থিক ক্ষতি করতে পারতোনা । প্রতারণা করতে পারতোনা।  ডেস্টিনির প্রশিক্ষক এইখানে প্রশিক্ষন দিচ্ছে আত্মপ্রত্যয়ের উপরে। আত্মবিশ্বাস ও ডেস্টিনির উপরে বিশ্বাস করে ডেস্টিনির হাত ধরে অন্ধের মত এগিয়ে যেতে হবে । যতক্ষন পর্যন্ত সবার টাকা মেরে দিয়ে ডেস্টিনির কর্মকর্তারা উধাও হয়ে যেতে না পারে ততক্ষন পর্যন্ত চোখ খোলা যাবেনা।

প্রথম ভিডিও দেখার পরে আমি কিছু বুঝিনি। এরা আসলে কি বিক্রি করছে আর কেনই বা এত মানুষকে ডেকে এনে প্রশিক্ষিত করছে। ভিডিওতে বলা হয়েছে, ডেস্টিনি বাংলাদেশের বেকার সমস্যার সমাধান করবে। অনেক মানুষের ভীর দেখলাম ভিডিওতে। পরের ভিডিওতে প্রশিক্ষক বলছে তাদেরই একজন উর্ধতন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা এই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। তাদের বলা হয় এক ধরনের স্যুপ পান করতে যা পান করার ফলে এই উর্ধতন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় এবং তারা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা বন্ধ করে দিয়ে ডেস্টিনির পন্য সেই স্যুপ পান করা শুরু করে দিয়েছে। আমি তখন ভেবেছিলাম হতে পারে এখানে এত লোকের সমাবেশ এত লেকচার বুঝি বা স্যুপ বিক্রি করার জন্য।

আর একটি ভিডিওতে দেখাচ্ছে একজন বৃদ্ধা যার বয়স আনুমানিক ৯০ বছরের কাছাকাছি হবে যাকে হাসপাতালে একটি নীল বোতলের ওষুধ খাওয়াবার ফলে ক্যান্সার রোগ ভাল হয়ে যায়। ৯০ বছর বয়সের পরে যদি এই বৃদ্ধার ক্যানসার রোগ ভাল হয় তাহলে তিনি আর কত দিন বাঁচবেন ? এই নীল বোতলের পানি পান করে যদি একটি দশ বছরের কিশোর বা কিশোরীর ক্যানসার ভাল হয়ে যেতো তাহলে সেটা একটা চমকপ্রদ আবিস্কার বলে সবার কাছে গৃহীত হতো। তাহলে তো বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতো ।

অন্য একটি ভিডিওতে একজন প্রশিক্ষক বলছে – হাতীকে কিভাবে বশ করতে হয় । সার্কাসে হাতীকে বেধে রাখা হয়। বার বার বেধে রাখার ফলে এক পর্যায়ে হাতী বন্দীত্বে অভ্যস্ত হয়ে যায়। নিজেকে ছয় ফুটের ভেতরে বন্দী করে রাখে। সেই ছয় ফুট সিমানার বাইরে যেতে ভুলে যায়। বন্দী থাকার অভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়া হাতীকে খুলে রাখলেও সে তার নির্দিষ্ট সীমানা থেকে পালিয়ে যায়না । সেই ছয় ফুট জাগার ভেতরেই সে বসে থাকে। তারপর সেই প্রশিক্ষক বলছে — আপনারা কি জানেন সার্কাসে আগুন লাগলে সব চাইতে আগে কে মারা যায় ? সেই হাতীটি যার নাকি অভ্যাস হয়ে গেছে ছয় ফুট জাগার ভেতর বন্দী থেকে। এই ভিডিও ডেস্টিনির ভবিষ্যত ডায়মন্ডদের সেই নির্ধারিত গন্ডী থেকে বেড়িয়ে এসে ডেস্টিনির হাতে ধরা খাইতে বলছে। বাইরে অনেক সম্ভাবনা আছে। যদি নির্দিষ্ট গন্ডি বা কুয়া থেকে এরা না বের হয় তাহলে জানবে কিভাবে যে সাড়া বিশ্বে প্রতারণার ফাঁদ পাতা আছে। ডেস্টিনি প্রতিষ্টিত করা হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে টাকা মেরে পালিয়ে যাবার জন্য।

বাংলাদেশের যেসব মানুষ ডেস্টিনির প্রশিক্ষক পরিচালকদের কথা বিশ্বাস করেছে যারা আর্থিক ও মানসিকভাবে ধরে খেয়েছে, প্রতারিত হয়েছে তারা এখন এইসব ভিডিও দ্যাখে কিনা আমি জানিনা তবে প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী যদি ডেস্টিনিকে অবিশ্বাস করতো তাহলে মানুষগুলো সেই সার্কাসের হাতীর মতই প্রচলিত ধ্যান ধারনা থেকে বের হয়ে যেতোনা, ছয়ফুট জাগার মধ্যে বসে থাকতো। তাহলে আর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতোনা।

ডেস্টিনির ত্রিপিস স্যুট পড়া অশুদ্ধ বাংলা বলা প্রশিক্ষক পরিচালকের পাতলা চুল আর চকচকে চোখ আর মিথ্যাচার অনেকেই বিশ্বাস করেছে। প্রতারিত হয়েছে।

ডেস্টিনির শেষ ভিডিওতে দেখলাম পুলিশে এইসব ডায়মন্ডদের পেটাচ্ছে। একজন মহিলা প্রশ্ন করছে – কেনো আমাদের পেটাচ্ছেন ? আমরা তো কোন দাবী নিয়ে আসিনি। আমরা কোন রাজনৈতিক দলের দাবী নিয়ে আসিনি। আমরা অফিসে কাজ করতে এসেছি। অফিসে কেউ কাজ করতে এলে পুলিশে পিটাই – সেটা কি কেউ শুনেছে কোনদিন ? ডেস্টিনির লাখ লাখ কর্মীরা সবাই কি চোর ছিল? অসাধু ছিল ? তাহলে কেনো পুলিশ তাদের পিটালো ? শেষ ভিডিওতে একটি ছেলে কাদছে আর বলছে – আমি দশ বছর এই কোম্পানীতে কাজ করেছি। আর একজন বলছে – সাড়া বিশ্বে এই ব্যবসা স্বীকৃত আমাদের পরিচালকদের মিথ্যা মামলাতে জড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর একজন প্রশ্ন করছে –আমাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট কেনো জব্দ করা হলো ??? সবার চোখে অশ্রু। সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গলে মিশে গেছে অশ্রুতে । খন্ড বিখন্ড হয়ে গেছে ডায়মন্ডরা । ভাঙ্গা বুক নিয়ে ডায়মন্ডরা ফিরে গেছে সাড়া বাংলাদেশের যেসব খনি থেকে এই ডায়মন্ডদের বের করে ডেস্টিনির সদস্য বানানো হয়েছিল সেইখানে।

ডেস্টিনির অনেকগুলো প্রশিক্ষন ভিডিও দেখার পরেও আমি বুঝিনি ওরা আসলে কি করে । বা কিসের ব্যবসা ছিল। আমি ধারনা করছি ওরা সাড়া বাংলাদেশে কিছু বিদেশী পন্য বিক্রি করার জন্য বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ করছিল। কোন নির্ধারিত বেতনে নয় । কমিশনের বিনিময়ে। এটা যার যার ব্যবসার মত। তবে ডেস্টিনির ট্রেনিং খরচা ও এডমিনিস্ট্রেটিভ খরচা হিসাবে যারা এই প্রতিষ্টানে যোগ দিয়েছে তাদের নিজেদের পকেট থেকে বিনিয়োগ করেছে। একদল লোক আর একদল লোক নিয়োগ করবে সেই একদল লোক আর একদল লোক নিয়োগ করবে – লোক নিয়োগের উপরেও কমিশন পাবে – এখন কারা বিক্রি করবে সেটা বুঝলাম না। পন্যগুলো যারা বিক্রি করবে তারা এই পন্যগুলো ক্রয় করে নিয়েই বিক্রি করবে। অর্থাৎ ডেস্টিনি ট্রেনিং দিবে, পন্য দিবে (টাকার বিনিময়ে হোলসেল) এবং পন্য বিক্রির পরে কমিশন দিবে বিক্রেতাকে। মার্জিন ন্যারো হলেও চাপাবাজীর কারণে যারা বিক্রেতা তারাও খালি স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে কিন্তু স্বপ্নের বাস্তবায়নে কত সময় লাগবে বা আদৌ তা বাস্তবায়িত হবে কিনা কেউ কিছু জানেনা। যাই হোক এইসব প্রশিক্ষণ ভিডিও দেখে আমি কিছু বুঝিনি। তবে পুলিশের পিটানী থেকে বুঝেছি এই মারা টাকা থেকে সরকার ভাগ পেয়েছে। নিরীহ মানুষকে যখন পুলিশে পেটাই করে তখনই বুঝতে হবে এই পুরা ডেস্টিনি স্কিম থেকে মারা টাকার ভাগ সরকারের বহু মানুষ পেয়েছে।

ডেস্টিনির প্রথম ভিডিওতে ফিরে যাই যেখানে বলা হয়েছিল এই স্বপ্ন এমন স্বপ্ন যা ঘুমাতে দেবেনা । ঘুম ভেঙ্গেছে । একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে দ্যাখে এই স্বপ্ন আসলে দুঃস্বপ্ন ছিল। গত তিন বছর ধরে আমি প্রতারিত হয়েছি। খুব কম দিন আছে যেদিন আমি প্রতারণা সম্পর্কে লিখিনি। খুব কম দিন আছে যেদিন আমি এই প্রতারণা সম্পর্কে ভাবিনি। বিগত তিন বছরে আমি এক হাজার পচানব্বই দিন প্রতারণা সম্পর্কে ভেবেছি। রাতে ঘুমাতে গেছি প্রতারিত হবার কথা মাথায় নিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠেছি প্রতারিত হবার কথা মাথায় নিয়ে। প্রতিদিন আমি প্রতারকের অভিনয়ের কথা ভেবেছি। প্রতারকের সেই কুৎসিত ব্রনেভরা মুখের দাঁতাল হাসির কথা ভেবেছি। কুতকুতে চোখের পেছনে লুকানো মিথ্যাচারের কথা ভেবেছি। কোন কুক্ষনে আমি এই প্রতাককে বিশ্বাস করেছিলাম তা ভেবেছি। আমি জানি প্রতারিত হলে কেমন লাগে। ডেস্টিনির লাখো প্রতারিত মানুষের বুকের ভেতরে আমি পৌছাতে পারি। মন স্পর্শ করতে পারি। আমি কিছু বিক্রি করিনি। আমি কোন ব্যবসা করতে যাইনি। আমি ভুল সময়ে ভুল জাগাতে ভুল মানুষের মুখোমুখি হয়ে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলাম। একজন প্রতারককে আমি বিশ্বাস করেছিলাম । বাংলাদেশের লাখো মানুষ বিশ্বাস করেছিল ডেস্টিনিকে ।প্রতারককে বিশ্বাস করেছিল ফলে প্রতারিত হয়েছে। এর কোন প্রতিকার নেই কারন এই প্রতারণার সাথে সরকার জড়িত ছিল। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ আমার টাকা মেরে দিয়েছে । এর কোন প্রতিকার নেই। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ বাংলাদেশে থাকে। ডেস্টিনির মত প্রতারক আনোয়ার পারভেজের মত অনেক প্রতারক বাংলাদেশে বসবাস করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেনা। কিন্তু তারা নিজেদের জনগনের প্রতিনিধি হিসাবে জাহির করে। তারা জনগনকে প্রতারিত করে। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল বিদেশের প্রতিনিধিত্ব করে । একটি পরাধীন দেশে জনগনের মৌলিক অধিকার সংরক্ষনের প্রশ্ন অবান্তর। তাই প্রতারণার প্রতিকার হয়না । প্রতারিত টাকা পুনরুদ্ধার হয়না। প্রতারকেরা জয়লাভ করে। প্রতারিতেরা হেরে যায়। প্রতারকরা সমাজে প্রতিষ্টিত হয় । ব্রনে ভরা কুৎসিত দাঁতাল হাসি হেসে ঘুরে বেড়ায় গান গেয়ে ।

অন্যদিকে প্রতারণার শিকারেরা হাজার হাজার ঘন্টা কাটিয়ে দেয় প্রতারিত হবার কথা ভেবে। সেই ছয় ফুট এলাকাতে আবদ্ধ থাকে প্রতারিতেরা। সেই ভুল সময়ে ভুল জাগাতে যেয়ে প্রতারিত হবার সেই কুক্ষনের ভেতরে প্রতারিতেরা আটকে থাকে আমৃত্যু।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *