সফল প্রতারণার পরে শিকারের উপরে চলে মানসিক নিপীড়ন

মানসিক নিপীড়ন হীনমন্যতার হাতিয়ার। একজন ক্ষুদ্র মনের প্রতারক তার প্রতারণার শিকার হিসাবে বয়স্কা বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে সম্পদশালী ভেবে তাকে শিকার হিসাবে চিহ্নিত করে। তারপর এই শিকারের কাছ থেকে টাকা মারা হয়ে গেলে তার উপরে ক্রমাগত মানসিক নিপীড়ন চালাতে থাকে যাতে এই মহিলা নিজে থেকেই এই সম্পর্ক ত্যাগ করে মেরে দেওয়া টাকার দাবী ছেড়ে দিয়ে মাফ চাই বলে সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে যায়।

শিকার ধরার শুরুতে মানসিক নিপীড়নের মাত্রা থাকে মোটামুটি হালকা ও অনুকূলে কারন তখন প্রতারক চায় শিকার হাতে আসুক। প্রতারক শিকারের ভাললাগা মন্দ লাগা গুলোকে অবলোকন করে প্রতারক তার তারপর শিকারের সাথে মিশে যায়। ভাল কথা, গান, সুর, তাল, লয়, রাজণীতি, অর্থনীতি, নেতা, পিতা, যা কিছু শিকারের পছন্দ সেইসব কিছুই প্রতারকের পছন্দের হয়ে যায়। শিকারের সুরে সুরে প্রতারক কথা বলতে থাকে। শিকারের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতারক চলতে থাকে। শিকারের সাথে প্রতারক মিশে যায় একই ছন্দে, গন্ধে, শিকার যা কিছু করে প্রতারকের সেই সব কিছুই ভাল লাগে।

শিকারের টাকা মেরে দেবার পরে প্রতারক তার শিকারের উপরে মানসিক নিপীড়নের ও চাপের মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে। শিকারের সাথে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে। এদিকে প্রতারক তখন শিকারের মনে একটা স্থান তৈরি করে ফেলেছে শিকারের সব ভাল লাগা প্রতারকের ভাল লেগেছে এই ভেবে। শিকার তখনই প্রতারণার শিকার হয় তখন সে প্রতারকের মিথ্যগুলো, অভিনয়গুলোকে সত্য ভেবে বিশ্বাস করে নেয়। শিকারের ভাবনায় তখন প্রতাক একজন বন্ধু, সাথী, প্রেমিক, জীবনসাথী। আল্লাহ্‌র ঘর মসজিদে বসে, পরিবার পরিজনের সামনে বসে সারাজীবন সাথে থাকার অঙ্গীকার করেছে। প্রতারক তখনই সম্পর্ক ত্যাগ করে যখন শিকারের টাকা মারা হয়ে গেছে আর যখন বুঝতে পারে যে এই শিকার এই প্রতারকের প্রেমে অন্ধ হয়ে গেছে। তখন প্রতারক যা চায় সেইসব কিছু প্রতারণার শিকার মন্ত্রমুগ্ধের মত দিয়ে দেয়। প্রতারকের মিশন সফল হয়। তখন প্রতারক শুরু করে চিৎকার আর গালাগাল।

টাকা মারা হয়ে গেছে। প্রতারক আর চায়না এই শিকার তার সাথে সম্পর্ক রাখুক। টাকা মারা হয়ে গেলে প্রতারক চায় তার শিকার নিজের কপালের দোষ দিয়ে, নিজেকে প্রতারকের অযোগ্য ভেবে, নিজেকে কষাঘাত করে, নিজেকে নানা দোষে দোষি ভেবে এই সম্পর্ক নিজে থেকেই ত্যাগ করুক। সব গান, কবিতা, সমঝোতা আর সংহতি ধীরে ধীরে বা মুহূর্তের মধ্য উবে যায়। শিকারের টাকা তখন প্রতারকের পকেটে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের বাবা জাফর আলম কক্সবাজারে বসে শিকারের টাকাতে হাত বুলায় আর প্রতারক আনোয়ার পারভেজ দাঁড়িয়ে থাকে শিকারের গলায় পা দিয়ে । অপেক্ষা করে শিকারের শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসার।

তখন উদার ও সরল শিকারকে “খানকী মাগী ও বেশ্যা” বলে আখ্যায়িত করে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ। মানসিক নিপীড়নের মাত্রা যতই উচ্চ হতে থাকে শিকারের চরিত্রকে ততই খারাপভাবে অংকন করতে থাকে।  একদিকে শিকার সারাদিন অফিসে কাজ করে আর খেয়ে না খেয়ে  প্রতারকের জন্য করা ঋন পরিশোধ করে অন্যদিকে বাংলাদেশে বসে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ শিকার সম্পর্কে চরিত্রহীনতার তালিকাতে লেখে – যে শিকার তাদের বিবাহিত জীবনের ২৫ দিনই অন্য পুরুষদের সাথে শুয়েছে কারন প্রতারকের যৌনক্ষমতা নাই বা কমে গেছে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের মানসিকতার মতই তার যৌনক্ষমতাও ক্ষুদ্র ও ক্রমশ বিলুপ্ত প্রায় তাই সে ওষুধ না খেয়ে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ সম্পুর্নভাবেই অক্ষম। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের বিশাল শরীরের ভেতরে হৃদয়ের সাইজ এতই ক্ষুদ্র যে অনুবীক্ষন যন্ত্রের সাহায্য নিলেও তা অনুভব করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এক বিশাল শরীরের ভেতরে সব কিছুই ফাঁকা আছে শুধু ক্ষুধা, লোভ, লালসা আর আছে সদা বহমান বিকৃত ও পূতিগন্ধময় নর্দমাময় মন। শিকারের কাছ থেকে টাকা মারা হয়ে গেলে, সেই টাকা কক্সবাজারে বাপ জাফর আলমের হাতে সোপর্দ করা হয়ে গেলে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ স্বরুপে দেখা দেয় আর তখন তার নর্দমা থেকে দুর্গন্ধ বেরুতে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.