কর্মক্ষেত্রে প্রেমের পরিণতি সবচেয়ে ইতিবাচক

ঢাকা: একই অফিসের সহকর্মীরা মোটামুটি সমপর্যায়ের যোগ্যতাসম্পন্ন হয়। প্রাপ্তবয়স্ক এবং দায়িত্বশীল অবস্থানে থাকায় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে যৌক্তিক প্রেম। আর তাই সহকর্মীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া পরিণয়ের পরিণতিও সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক বলে ধারনা এসেছে একটি গবেষণায়। অনেক প্রতিষ্ঠানই সহকর্মীদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ককে মেনে নেয়া হয় না। কড়া বিধিনিষেধ আরোপ থাকায় সম্পর্কে জড়ানোর ব্যাপারে সহকর্মীরাও নিরুত্সাহিত থাকেন। তবু শত বাধার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে গড়ে ওঠা সম্পর্ক বেশি ইতিবাচক হয় বলে দাবি গবেষকদের।

গবেষণাটি চালানো হয়েছে দুই হাজার প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর। অন্যান্য সব ক্ষেত্রের চেয়ে কর্মক্ষেত্রের প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি বিয়েতে গড়িয়েছে। কর্মক্ষেত্রের প্রেমে বিয়ের হার ১৪ শতাংশ। বন্ধুদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের হার ১১ শতাংশ। নৈশক্লাব বা পানশালা সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি ও ভাঙার বিষয়টি ক্ষণিকের মধ্যেই সম্পন্ন হয়।

গবেষকরা বলছেন, একই অফিসে একসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে জুটিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এর ফলেই সম্পর্কটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। বন্ধু ও সহকর্মীদের নিরুৎসাহের পরও যারা কর্মক্ষেত্রে রোমান্স করে, তাদের পরিণতি বিয়েতে গড়ায়।

গবেষকরা দেখেছেন, ৫১ শতাংশ প্রেমিক জুটি কোথায় বেড়াতে যাবেন তাই নিয়ে নানা চিন্তা-ভাবনায় থাকেন। কিন্তু সহকর্মীদের প্রেমে এধরনের সমস্যা থাকে না। কর্মময় দিনের মাধ্যমে দীর্ঘক্ষণ একসঙ্গে থাকলে একে অপরের প্রতি ইতিবাচক ধারণা বেশি জন্মায়। এই সম্পর্কে ঝগড়া বা মান-অভিমান কম হয়। একে অপরকে বোঝার সুযোগ থাকে বেশি। তাই সম্পর্কটা বিয়ের দিকেই বেশি গড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *