বিএনপির সুতিকাগার ছিল ১৫ই আগস্ট কারণ জিয়া আগস্ট বিপ্লবীদের প্রতিনিধি হয়েই সেনাপ্রধান হিসাবে নিয়োজিত হয়েছিলেন, যেমনভাবে খন্দকার মোস্তাককে অধিষ্ঠিত করা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিপ্লবীরা সবাই ছিলেন সেনা পরিষদের সদস্য। দেশপ্রেমিক নিবেদিত প্রান, সৎ এবং সাহসী রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ক্ষমতাশালী কমান্ডাররা এই সংগঠনটির গোপন তৎপরতা শুরু করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কালেই যুদ্ধের আবরণে।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সম্প্রসারনবাদী ভারতীয় নীল নকশার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সত্যিকার অর্থে স্বাধীন, আত্মমর্যাদাশীল স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলে বিশ্বের মানচিত্রে নিজেদের স্থান করে নেয়া। সুচিন্তিত নীতি আদর্শ এবং কর্মসূচী নিয়েই তারা এগুচ্ছিলেন। তারই ভিত্তিতে স্বাধীনতার পর সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেনা পরিষদ।
খালেদ চক্রের প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু’দাতার বিরুদ্ধে ৭ই নভেম্বর এর সিপাহী জনতার সফল বিপ্লবের মূল শক্তিও ছিল সেনা পরিষদ। তাদের সহযোগী হয়েছিল কর্নেল তাহেরের অধিনস্থ বৈপ্লবিক সৈনিক সংস্থা নুনতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে। এই বিপ্লবের ছক কাটা হয়েছিল অতি গোপনে বঙ্গভবনে সেনা পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে কর্নেল তাহেরের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। তারপরই প্রকাশিত নেতারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলগত কারনেই দেশ ছেড়ে ব্যাংককে অবস্থান নেন।
৭ই নভেম্বর এর পরই জিয়াকে সেনা পরিষদ ক্ষমতার কেন্দ্রে অধিষ্ঠিত করেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছে সেনা পরিষদের সাথে জিয়া তার সম্পর্ককে অস্বীকার করে্ন এবং প্রেসিডেন্ট মোস্তাকের জাতির উদ্ধেশে দেয়া ভাষণ অনুযায়ী বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করে নিজের মত দল বিএনপি গঠন করেন এবং ভারতের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে হাসিনা কে দেশে এনে রাজনীতিতে বহাল করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জামাত ও এরশাদের মদতে সরকার গঠন করেই সংসদ অধিবেশনে একটি প্রাইভেট বিল সংবিধান লঙ্ঘন করে পাশ করিয়ে প্রয়োজনীয় দুইত্রিতিয়াংশ ভোট না থাকা সত্তেও সংবিধানের ৫ম সংশোধনী থেকে ইনডেমনিটি এক্ট বাতিল করে। এখানে জানা দরকার, যে কোন সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দুইত্রিতিয়াংশ ভোটের প্রয়জন। তখন বিএন পি নেত্রী খালেদা জিয়া ১২০ টির ও বেশি আসন থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসাবে সংবিধান লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ না করে মুখে কুলুপ এঁটে সংসদ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
‘দেশ নায়ক’ তারেক রাহমান! তোমাকে এই খেতাবে ভূষিত করল কে? এ দেখি ‘গাঁয় মানে না আপনিই মোড়ল’ প্রবাদটার বাস্তব প্রতিফলন! ইতিহাস নিয়ে কথা বলার একমাত্র অধিকারী তারা যারা ইতিহাস সৃষ্টি করে কিংবা ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহে উপাদান হিসাবে স্বীকৃত। বর্তমানের রাজনীতির ঠিকাদাররা ইতিহাস বিকৃতির ক্ষেত্রে সবাই যার যার হাতে সারে তেরো হাত। কিন্তু তোমার জানা থাকা উচিৎ , ২৫ জানুয়ারি বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে গলা টিপে হত্যা করে মুজিব কিন্তু তোমার পিতা তদকালিন ডি.সি.এ.স জেনেরাল জিয়াকে আপন করে নিয়েছিলেন বাকশালের মেম্বর হিসেবে।
এই বাস্তবতায় তিনি জাতিকে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কি করে?
ইতিহাস বলে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সফল বৈপ্লবিক অভ্যুথানের পর বিপ্লবীদের প্রতিনিধি হিসেবে খোন্দকার মশ্তাক আহমেদ প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। এর পর বাকশালী আমলের তিন বাহিনী চীফকে পদত্যাগে বাধ্য করে বিপ্লবীদের প্রতিনিধি হিসেবে নতুন তিন চীফ নিয়োগ প্রাপ্ত হন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে। তারা হলেনঃ
— জেনেরাল জিয়া,
—এ.ভি.ম তোয়াব এবং
— রিয়ার এডমিরাল এম.এ. খান, যিনি জিয়ার দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
এরপর ২/৩ নভেম্বরের কালরাতে উচ্চাভিলাষী ব্রিগেডিয়ার খালেদের প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু’ যাতে জেনারেল জিয়াকে গৃহবন্দী করা হয়। সেই রাতে জেনারেল জিয়ার প্রান রক্ষার্থে, দেশ ও জাতিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের হাত থেকে বাঁচাতে আর সর্বোপরি ২৫ বছরের গোলামির চুক্তির আওতায় ভারতীয় বাহিনী অন্তঃকলহের সুযোগে যাতে দেশের ভেতরে ঢুকে বাকশালকে আবার ক্ষমতায় বসাবার সুযোগ না পায় সে সব নিশ্চিত করার জন্য আসমান থেকে ফেরেশতা নেমে আসেনি।
বিপ্লবীদের তরফ থেকে ৪ বেঙ্গল হেড কোয়ার্টারে ছুটে গিয়েছিল সেনা পরিষদের দুই অকুতভয় খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতা মেজর ডালিম বীর উত্তম এবং মেজর নূর বীর বিক্রম।
মধ্য রাত থেকে পরদিন ৪ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা দীর্ঘ আলোচনার পর খালেদ চক্রের বিরুদ্ধে আর একটি বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের রূপরেখা চুড়ান্ত করে । সেনা পরিষদের প্রকাশিত শীর্ষ নেতারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলগত কারনে ৪ঠা নভেম্বর রাত সারে দশটায় একটি বিশেষ বিমানে ব্রিগেডিয়ার খালেদের এবং কর্নেল নাজমুল হুদার স্ত্রীদের সাথে করে নিয়ে ব্যাংককে অবস্থান গ্রহন করে। একই প্লেনে দুই ভাবি দেশে ফিরেন। ব্যাংককে বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ এবং তাদের পরিবারদের দায়িত্বভার গ্রহন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। এরপর মাত্র দুই দিনের মাথায় ৭ই নভেম্বর ঘটানো হয় খালেদ বিরোধী সিপাহী জনতার অবিস্মরণীয় সফল বিপ্লব।
এই বিপ্লবেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে সেনা পরিষদ তার সাথে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সহযোগী ভূমিকা পালন করে কর্নেল তাহেরের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। জেনারেল জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসা হয় ২ ফিল্ড রেজিমেন্ট হেড কোয়ার্টারে।তারপর তাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র আর্মি চীফের পদে। মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃতে বিপ্লবীরা যখন তাকে মুক্ত করার জন্য মইনুল রোডের বাড়িতে যায়, তখন জেনারেল জিয়া এবং খালেদা জিয়া, তোমার জননী চোখের আর নাকের পানিতে একাকার হয়ে কিছু বুঝতে না পেরে মিনতি জানাচ্ছিলেন শুধু পেনশনের ব্যবস্থাটা করে দিতে! তোমাদের দাবি জিয়া দেশবাসীকে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
জঘন্য ইতিহাস বিকৃতি! জাতি এবং দেশকে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিল ১৫ই আগস্ট সফল বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুজিবের পতন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিপ্লবীদের মনোনিত রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশ্তাক আহমেদ। দলিল হিসাবে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সেনা পরিষদের বিপ্লবী শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের একজন, রাষ্ট্রদূত কর্নেল শরিফুল হক ডালিম বীর উত্তম এর লিখা এবং ৩ টি ভাষায় প্রকাশিত (বাংলা, ইংরেজি এবং উর্দু) ‘যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি’ বইটি থেকে একটি অংশ তুলে ধরলাম ঃ
“অস্থায়ী সরকারের গৃহিত নীতি ও পদক্ষেপসমূহ ক্ষমতা গ্রহণের পরই খন্দোকার মোশতাক শক্তহাতে রাষ্ট্র ব্যবস্থার হাল ধরেন। সেনা পরিষদকে পর্দার অন্তরাল থেকে সার্বিক সাহায্য প্রদান করতে থাকে। অনেক কিছুই করণীয়। খুব সতর্কতার সাথে অগ্রাধিকার ঠিক করা হচ্ছিল প্রতি ক্ষেত্রে। রেডক্রস এর চেয়্যারম্যান পদ থেকে কুখ্যাত গাজী গোলাম মোস্তফাকে অপসারিত করে বিচারপতি বি.এ সিদ্দিককে তার পদে নিযুক্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতির ৯নং আদেশ বাতিল করা হয়। রাষ্ট্রপতিমোশতাক এক অধ্যাদেশ জারি করে একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘোষণা করে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। মুজিব কর্তৃক দেশকে ৬১টি জেলায় বিভক্ত করে গভর্ণর নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। দেশের ১৯টি জেলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জেলা প্রশাসকদের হাতে প্রশাসনের দায়িত্ব দেয়া হয়। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি, মুজিব সরকারের ৬জন মন্ত্রী, ১০জন সংসদ সদস্য, ৪জন আমলা এবং ১২জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিচারের জন্য দু’টো বিশেষ আদালত গঠিত হয়। সামরিক বাহিনীর ৩৬ জন দুর্নীতি পরায়ন অফিসারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়। রাজবন্দীদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বিলুপ্ত রাজনৈতিকদলগুলোর কাছে সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়। ২৫শে আগষ্ট সরকারি আদেশে মশিউর রহমান এবং অলি আহাদকে বিনাশর্তে মুক্তি দান করা হয় । একই দিনে জেনারেল ওসমানীকে রাষ্ট্রপতির নয়া সামরিক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে জয়েন্ট চীফ অব ডিফেন্স ষ্টাফ হিসাবে এবং মেজর জেনারেল শফিউল্লাহর স্থানে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে আর্মি চীফ অফ ষ্টাফ হিসাবে নিয়োগ করা হয়। বিমান বাহিনীর চীফ অফ ষ্টাফ হিসাবে নিযুক্ত হন এয়ার ভাইস মার্শাল তোয়াব।
দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকা দুইটি মালিকদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। ১৬ই আগষ্ট মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানী নয়া সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে এক বার্তা পাঠান। দেশের প্রায় সমস্ত জাতীয়তাবাদী এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, নেতা এবং গণসংগঠনের সমর্থনও লাভ করতে সমর্থ হয় নতুন সরকার। তারা সবাই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে তাদের সাহসী পদক্ষেপের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। ৩রা অক্টোবর প্রেসিডেন্ট মোশতাক ঘোষণা করেন,
“১৯৭৬ সালের ১৫ই আগষ্ট হতে দেশে বহুদলীয় অবাধ রাজনীতি পুনরায় চালু করা হবে এবং ১৯৭৭ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী দেশে সাধারণ নির্বাচন সংগঠিত করা হবে।” এই দলিলের ভিত্তিতে বড় জোর বলা চলে জিয়া প্রেসিডেন্ট মোশ্তাকের ঘোষণার বাস্তবায়ন করেছিলেন মাত্র।
১৫ই আগস্ট এবং ৭ই নভেম্বর ঘটনা দুইটি একি সূত্রে গাঁথা। যদিও চারিদিক থেকে বিশেষ করে জিয়াকে ক্ষমতার কেন্দ্রে উপবিষ্ট করাবার পর থেকেই তিনি প্রানপন প্রচারণা চালিয়ে ছিলেন যে সেনা পারিষদ এবং বিপ্লবীদের সাথে তার কোনই সম্পর্ক নেই।
বি.এন.পি. সেই রেকর্ড এখনও বাজিয়ে চলেছে, কারন একটাই, ভারতের অনুকম্পা লাভ করে ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকা। কাল সাপের বাচ্চাকে আদর করে দেশে ফিরিয়ে এনে দুধ কলা দিয়ে পুশে ছিলেন তিনি, র’ এজেন্ট এরশাদকে বানালেন আর্মি চিফ, সেনা পরিষদের একজন সদস্য হয়ে তিনি হত্যা করেন ৩০০০ থেকে ৪০০০ সেনা পরিষদের বিপ্লবী মুক্তিযোদ্ধা এবং সদস্যদের। মোনাফিকি আর সুবিধাবাদী নীতির পরিনাম কি সকরুন! সেই মুনাফিকির পরিনামে আজ শুধু পুরা দেশ, দেশবাসী এমন কি তথাকথিত জাতিয়তাবাদী এবং ইসলামী চেতনার ধ্বজাধারীরাও জাঁতা কলের নিষ্পেষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। আরও দুর্ভোগ রয়েছে সামনে। রক্ত গঙ্গা বইবে দেশে, জাতির অস্তিত্ব পরবে হুমকির মুখে। সর্বশেষে বলছি, শুধু আওয়ামীলীগই নয় বি এন পি সহ দেশের সব ক’টা রাজনৈতিক দলের পুনর্জন্ম নেবার সুযোগ ঘটেছিলো মহান ১৫ আগস্ট এবং ৭ই নভেম্বরের সফল বিপ্লবের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে, যার নেতৃতে ছিল সেনা পরিষদ।
তারেক রহমান, আরও একটি তথ্য তোমার জানা দরকার। ৭ই নভেম্বর মুক্ত হবার পরই বিপ্লবীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেনারেল জিয়াকে স্বয়ং অনুরোধ জানাতে হয়েছিল খন্দকার মোস্তাককে পুনরায় রাশ্ত্রপতির দায়িত্বভার গ্রহন করার জন্য। কিন্তু তার বিবেচনায় এভাবে রাষ্ট্রপতি হলে সেটা সংবিধান সম্মত হবে না, তাই তিনি রাজি না হয়ে বলেছিলেন,
“ জনগন যদি চায় তবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হয়েই তিনি দেশের দায়িত্বভার গ্রহন করবেন”।
ইতিমধ্যে তিনি জিয়াকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করবেন। ব্যাংককে অবস্থানরত নেতাদেরও তিনি তাই বলেছিলেন। জাতির উদেশ্যে তার ভাষণেও তিনি সেই কথাই বলেছিলেন। শুনেছি রাষ্ট্রদূত শরিফুল হক ডালিম বীর উত্তমের ‘জিয়া থেকে খালেদা’ নামে নতুন আর একটি তথ্য বহুল বই শীঘ্রই তিন ভাষায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সাধারন পাবলিকের একজন হিসাবে অধির অপেক্ষায় রয়েছি, দেখি থলে থেকে এবার কোন বেড়াল বেড়িয়ে আসে! ৭০ ঊর্ধ্ব একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং নিবেদিত প্রান বাংলাদেশী হিসাবে তোমাকে উপদেশ দিতে চাই, সত্যকে মেনে না নিয়ে, যার যা প্রাপ্য সেটা নিজেরা কুক্ষিগত করে রেখে, শুধু ক্ষমতার জন্য আঁতাতের মাধ্যমে সহযোদ্ধাদের রক্তে হাত রঞ্জিত করে, ইতিহাস বিকৃত করে আর যাই হও বাবাজান ‘দেশ নায়ক’ তো দূরের কথা ‘খল নায়ক’ হলে হতে পারো। আল্লাহ্ পাক তোমাকে সুবুদ্ধি দিন, আমীন!