মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরনার্থী ও অভিবাসন সংক্রান্ত সহকারী মন্ত্রী অ্যান সি রিচার্ড বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। এই সংখ্যালঘু মুসলমানদের মিয়ানমারের সমাজে ঠাঁই দেওয়াই হবে এর স্থায়ী সমাধান। এজন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
শুক্রবার ঢাকায় আমেরিকান ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ডেভিড মীলি ও দূতাবাসের মুখপাত্র মনিকা শাই উপস্থিত ছিলেন।
অ্যান রিচার্ড বলেছেন, আমি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চেয়েছি, তারা বাংলাদেশে থাকতে পছন্দ করেন নাকি মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান? তারা বলেছেন, বাংলাদেশে থাকতে পছন্দ করেন। যদিও এখানে দুর্ভোগ আছে, কিন্তু এক ধরনের স্বাধীনতা এখানে আছে। কক্সবাজারে কিছু একটা করে বাঁচতে পারছেন।
তিনি আর্ন্তজাতিক এনজিওসমূহকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে চায়। বাংলাদেশে দু’টি শরনার্থী শিবিরে যে সকল রোহিঙ্গা আছেন, তার বাইরে খুপরি ঘর বানিয়ে থাকা কয়েক লাখ মানুষ বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ফলে মিয়ানমার সরকারের উচিত হবে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া। বাংলাদেশের আইনে তাদেরকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। ফলে তারা বঞ্চনা, পাচার এমনকি ধর্ষণের শিকার হতে পারে।