মাননীয় প্রধান মন্ত্রী !
প্রথমে আমি দুঃক্ষ প্রকাশ করে নিচ্ছি আপনাকে সালাম না দিতে পারার কারনে। কারনটি না হয় পরেই বললাম। আপনকে যে কথাগুলো না বললে নিজেকে অনেক লজ্জিত বোধ করছি দেশ ও মানুষের সার্থে আজকে আপনাকে সে কথাগুলো বলতে চাচ্ছি:-
০১. জাতির সাথে আপনি যে ভন্ডামি শুরু করেছেন সেটি এদেশের মানুষ অনেক আগেই বুঝে গেছে। এদেশকে পুরোপুরি ধংশ করে দেয়াটাই আপনার লক্ষ্য সেটা এদেশের শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দিনমুজুর, রিক্সাওয়ালা, খেটে খাওয়া বাস্তুহারা ছিন্নমূল মানুষ পর্যন্ত সবাই জেনে ও বুঝে গেছে।
০২. আপনি এবং আপনার দলীয় গুন্ডা সাঙ্গপাঙ্গরা যে ময়লাযুক্ত কুত্সিত নোংরা ভাষায় মানুষকে অপমান করে কথা বলে যাচ্ছেন এবং মানুষের জানমাল নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ছিনিমিনি খেলা শুরু করে দিয়েছেন সেটা বুঝতে বেশি শিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই।
০৩. এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে তারা ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালের নির্বাচণে অন্ধবিশ্বাসে আপনাদের মত নব্যহিটলার খুনি, ডাকু ও সন্ত্রাসীদলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল।
০৪. এদেশে আজকে কিছু চিন্নিত বেকুব-শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী, কিছু দুশ্চরিত্রের সুশীলসমাজ আপনাকে চিনেও মুখে গ্লু লাগিয়ে বসে আছে। তারাও আপনাকে কোনো না কোনো ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে উচ্চ মুনাফার বিনিময়ে! কারণ তারা তো আপনাদেরই অবৈধ বিনিয়োগ! আর দেশের গৌরবের সেনা বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, রেব এদেরকে তো আপনি অনেক আগেই আপনার তালিকাভুক্ত দলীয় সন্ত্রাসী গুন্ডাবাহিনীর সদস্যদেরকে দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন। তাই আপনি মানুষ হত্যা করে – মানুষের বাড়ি ঘর জ্বলিয়ে দিয়ে – মানুষকে তাদের পৈত্রিক ভিটেবাড়ি ছাড়া করে উদ্বাস্তুতে পরিনত করতে আপনার বিবেকে বাঁধছেনা। আপনি আপনার লৌলুপ লম্পট দৃষ্টি নিয়ে ডানে বামে না তাকিয়ে শুধু ট্রাক-ড্রাইভারদের মত হাইওয়েতে সামনের দিকে এগিয়েই যাচ্ছেন।
০৫. বিজয় দিবসের আলোচনায় আপনার পূর্বপূরুষের! অতীত বংশের ছিন্ন পরে এদেশের ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্ত আর সেসব বীর শহীদের সন্তান – পরিজন ১৬ কোটি মানুষের সাথে মস্করা করতেও আপনার বিবেকের একটুও লজ্জা হয় নি!
০৬. ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় ভাওতাবাজি করে হাতে তসবিহ, মাথায় পট্টি, নেকাব পরে যখন ভোট চেয়েছিলেন তখন আপনাকে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষেরা অতিব বিশ্বাস করেছিল! যখন কুকুরের মাথায় টুপি পরিয়ে দিয়ে, অসংখ্য মসজিদ – মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে সেগুলো বন্ধ করতে আপনার গুন্ডা সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গরা উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন তখন এদেশের সাধারণ মানুষের বাক রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখনও আপনার বিবেককে দংশন করেনি!
০৭. স্বাধীনতা ও দেশের গৌরবের প্রিয় সেনাবাহিনীকে যখন ধংশ করার উদ্দেশ্যে (কারণ এই সেনা বাহিনীই আপনার পিতাকে হত্যা করেছে বলে আপনি বিশ্বাস করেন!) পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আপনার হিংসা ও বিদ্ধেশের বহির্প্রকাশ চরিতার্থ করার জন্য নোংরা উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন তখনও আমরা নিথর নির্বোধ হয়ে গিয়েছিলাম!
০৮. যখন কপালে সিধুর পরিয়ে নিয়ে আপনি ও আপনার আদি পুরুষেরা! উচ্ছাসে মেতে উঠেছিলেন তখনও আপনার খাঁটি ইসলামী চরিত্রটি লজ্জিত হয় নি! তখন দেশ পেয়েছিল খাটি দেশপ্রেমিক দুই-ধর্ম বিশ্বাসের একজন ঈমানদার! নাস্তিক প্রধানমন্ত্রী! তাই তো আমি একজন মুসলিম হিসেবে আপনাকে সালাম দিতে অপরাধ বোধ করছি।
০৯. পাকিস্তানিরা এদেশটাকে ধংশ করতে চায় নি! তারা চেয়েছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। (অনেকের মতে আপনার পিতার সাথে অতাত করেই তারা নাকি বাংলার নিরীহ মানুষের উপর হত্যা উম্মাদনায় মেতে উঠেছিল! তা’না হলে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পাশ কাটিয়ে আপনার পিতা কেন রক্ষী বাহিনী তৈরী করেছিল এবং সেই বাহিনী দিয়েই এদেশের সাধারণ মানুষকে হত্যা, গুম, খুন করা শুরু করেছিলো। যার উত্তর দিতে আপনার বিবেক লজ্জা পাবে)।
১০. মুসলমানদেরকে ভাগ করে তাদের রাষ্টীয় ভুখন্ড সংকুচিত করে ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতেই প্রাচ্যের ও প্রাশ্চাত্যের কিছু দালাল মিলে দেশটাকে ভাগ করেছিলেন বলেই এখন অনেকে মনে করেন।
১১. আজকে একটি স্বাধীন দেশের মধ্যে আপনি কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সেটা এদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ জানতে চায়? ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় মানুষ ওপারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। আজকে দেশের মধ্যে যে অত্যাচার অবিচার, লুট, খুন, ধর্ষণ, গুণ্ডামির রাজনীতি চালু করছেন। মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে উদ্ভাস্তু করে ফেলতেছেন। আজকে তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় চাইবে? স্বদেশের মাটিতে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন? কার ইশারায় এসব করে যাচ্ছেন? জাতিকে যত বোকা ভাবছেন কিন্তু এই যুগে মানুষ ততো বোকা নয়! গোটা মোহদীপুর, রসুলপুর, চণ্ডিপুর থেকে শুরু করে শাহাবাজপুর, দিলালপুর, ধোবরা, কানসাট, সোনামসজিদ স্থলবন্দর, শ্যামপুর ও উমরপুরের ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একটু আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ ছুটাছুটি করছে। অসহায়ের মত মানুষ দিকবিদিক ছুটছে। হাঊমাঊ করে কেঁদে বেড়াচ্ছে। এসব আপনি কেন করে ভেড়াচ্ছেন?
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, কাহারোল ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে ঢুকেও আপনার যৌথ বাহিনী! আসামি না পেয়ে সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, নাটোর, সিলেট, মাগুরা, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলকে দলীয় গুণ্ডা বাহিনী লেলীয়ে দিয়ে দেশ ও সমাজকে কেন অস্থির করে তুলতেছেন! আপনার সুদূর প্রসারী কোন গোপন! এজেণ্ডা যদি থেকে থাকে সেখান থেকে ফিরে আসতে এখনো সময় আছে বলে মনে করি।
১২. সারা দেশের অনেক এলাকাতে আপনার দলের গুন্ডাপান্ডারা সন্ত্রাসী কায়দায় যে যেভাবে লুটপাট করে যাচ্ছে, ভাংচুর করছে, মানুষ হত্যা করছে, লোকজনকে উঠিয়ে নিয়ে গুম করে ফেলছে, মা-বোনদেরকে জোর জবরদস্তি করে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করতেছে! ঘুমন্ত মানুষকে তুলে নিয়ে গুলি করছে, হত্যা করে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মেকানিজম বেবহার করে, দেশের জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পালিত পুলিশ – বিজিবি – রেব দিয়ে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছেন। দলীয় গুন্ডা পান্ডাদেরকে পুলিশ, রেব, বিজিবির উর্দি পরিয়ে দিয়ে তাদের দিয়ে নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে এসব কিসের অভিযান চালাচ্ছেন। অভিযান চালাবেন ভালো কথা! পুলিশ আসামী ধরে থানায় দিবে। জেলে দিবে। কিন্তু মানুষের বাড়ি ঘর জ্বলিয়ে দিয়ে সম্পদের ক্ষতি করে আপনি কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছেন? এসব ধ্বংশলীলা চালিয়ে আপনি কাদের সার্থে কাজ করে যাচ্ছেন? জাতি কি সেটা জানতে পারে ?
১৩. ছবিতে মহিলাটির দিকে একটু তাকিয়ে দেখেন আপনার মত সেও একজন মানুষ। সেও বাঁচতে চায়। কিন্তু আপনি তাদের বাঁচতে দিচ্ছেন না, কিন্তু কেন? তাদের অপরাধ কি তারা আপনার অবৈধ আওয়ামীলীগের সদস্য না, সেটা? নাকি তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ – এটাই তাদের অপরাধ ?
১৪. রক্ষী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আপনার পিতাও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারে নি। উপরন্ত বিগড়ে যাওয়া উচ্ছশ্রিংখল সন্তানের (একজন সেনা অফিসারের স্ত্রীকে অপমানের অভিযোগ) বিচার করতে না পারার কারণে আপনার পিতার নির্মম মৃত্যু হয়েছিল বলে অনেকে বিশ্বাস করে।
১৫. যুগে যুগে বিশ্বাসঘাতকরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ডাস্টবিনের দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে। নম্রুদ, ফেরাউন, আবু জেহেলরা ধ্বংস হয়েছে। বাংলার মীরজাফরের কথা নাই বললাম। একজন লেন্দুপ দর্জির পথে যদি আপনার বেহুদা স্বপ্ন ভ্রমণ হয়ে থাকে তাহলে আপনার স্বপ্ন ভঙ্গ হতেও সময় খুব বেশি দূর নয়। আপনার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়াও খূব নিকটে মনে হচ্ছে। ইতিহাসও তেমন স্বাক্ষী দেয় আর আমরাও তা’ বিশ্বাস করি। আপনি আপনার পিতার সেসব দিনগূলো থেকে বা এসব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন নি। এটাই ইতিহাসের চরম নিষ্ঠুরতা!
১৬. রাজনীতির নামে আপনি যে নোংরা চরিত্রের অপরাজনীতির কুত্সিত চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন এবং সমাজকে শিখিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন! সেখান থেকে আপনার মুক্তি আসবে বলে বিশ্বাস করি না। আপনি যে সব প্রভুদের এজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে আপনার লাভ কতটুকু হবে সেটা না জানলেও আপনার এবং আপনার দলীয় চিন্নিত সন্ত্রাসী লম্পট গুন্ডাপান্ডাদের ভয়াভহ পরিনতি কেহই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে বলেও মনে হয় না। মানুষ হত্যা করে, দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করে, ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়ে, লুটপাটের রাজনীতি করে আপনার পিতা কোন সুফল পায় নি যদিও তার অনেক অর্জন ছিল কিন্তু তিনি ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। সেটা আপনার থেকে আর ভালোকরে কে বা কারা জানে? তেমনি করে আপনার ইতিহাস এদেশে কি করে লিখা হবে সেটি নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাই ইতিহাস বলে দিবে। যদি পর্দার আড়ালের আপনার নোংরা চরিতের উন্নতি না ঘটে।
১৭. আপনি এবং আপনার দলের সন্ত্রাসী কর্ম কাণ্ডের ব্যাপারে জাতি অনেকটা ওয়াকিবহালই মনে হচ্ছে। আপনার দলের মানুষ খেকো প্রজনন ফ্যাক্টরির উৎপাদিত প্রাণীরূপী সন্ত্রাসীগূলো যেভাবে সারা দেশে জুড়ে হত্যা, খুন, গুম, লুটতরাজ, ধর্ষণ, নৈরাজ্য ও ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের ঘর বাড়ী দখল – ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও করে মানুষকে বাস্তুহারা ভিটে বাড়ী ছাড়া করে স্বদেশের মাটিতে উদ্বাস্তুতে পরিণত করেছে এবং করে যাচ্ছে। আপনি এসবের হুকুমের আসামী হওয়ার জন্য কি প্রস্তুত আছেন! একের বদলে ১০ জনকে মারার হুকুম জারি দিয়েছিলেন সেগুলোর ভিডিও ফুটেজের কথা নিশ্চয়য়ই আপনার মনে থাকারই কথা। মানুষ মারতে কোর্টের আর দরকার নাই সে কথাগুলো আপনার দলীয় অবৈধ সন্তান্রাই বলে বেড়াচ্ছে। তাহলে দেশে বিচার বেবস্থার দরকার নেই সেই স্বীকৃতি দিয়েই এসব অত্যাচার করে যাচ্ছেন। এসবের হুকুমের আসামি হতে তো রাজি থাকবেন ?
১৮. জয়নাল হাজারী, শামীম ওশমান, আবূ তাহের, বোমা মানিক, হাজী সেলিম, ইয়াবা বোদি, লুঙ্গী মায়া!, মীর্জা আযমের ভগ্নীপতি শেখ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, সারা দেশ জুড়ে এধরনের হাজারো সন্ত্রাসীর প্রজনন ফ্যাক্টরি আপনার হুকুমের দল আওয়ামীলীগ! এদের সুরক্ষায় আপনার গদি কতদিন চালিত থাকবে সেটি তো আপনি নিজেই জানেন না! গান পাঊডার দিয়ে মানুষ হত্যা, আপনাদের দলীয় কোন্দলের জেরে লোকমান চেয়ারম্যান হত্যার কারণে পুরা রেল গাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া!, একরাম চেয়ারম্যানকে যাহেলী কায়দায় পুড়িয়ে মারা, সন্ত্রাসী স্টাইলে শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসও করা, আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া। এসব কিছু আপনার মনে থাকারই কথা। এসবের হুকুমের আসামী হতে আপনার তো নারাজি থাকার কথা নয়!!!
১৯. আইন প্রয়োগ কারি সংস্থার সকল প্রতিষ্ঠানে দলীয় ছাত্রলীগ – যুবলীগের চিহ্নিত! গুণ্ডা সন্ত্রাসীদেরকে বেআইনিভাবে উর্দি পরিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা, লুটপাট সহ – দেশে গৃহ যুদ্ধ লাগাতে আপনার গোপন পরিকল্পনার কথা দেশ ও জাতি অবগত আছে বলেই মনে হচ্ছে। গুলি করে মানুষ মারার ছবি, ভিডিও ফুটেজ সহকারে এসব কি একদিন আপনার ও আপনার দলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না? আপনার পিতা হত্যার বিচার যদি এদেশে ৪১ বছর পরেও হতে পারে তাহলে আপনার কৃত জুলুম অত্যাচার দুঃশাসনের বিচার হবে বলে বিশ্বাস করেন না! আপনাদেরই প্রসব বেদনার অবৈধ ফসল কেয়ার টেকার সরকার! কর্তৃক জারি কৃত প্রজ্ঞাপনে আপনাকেই “দেশ ও জাতির জন্য বিপদজনক” , “রং হেডেড” এসবের কথা ইতিহাস কি মনে রাখবে না !
২০. ডিজিটাল উন্নতির! আওয়ামী! দলীয় মিডিয়ার ডামাডোলে ধ্বংস করে দিচ্ছেন! গার্মেন্টস, দেশি বিদেশী বিনিয়োগ, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ বেবস্থা, শিক্ষা বেবস্থা, চিকিৎসা বেবস্থা। দাদাবাবুদের লম্পট চক্ষুর কারণে সুন্দরবনকে তেল ঢেলে দিয়ে কি করেছেন সেটা না হয় নাই’ই বললাম। মাগুর ছরা, পেট্টো বাংলা, সমুদ্রের গ্যাস, এসব ধ্বংসের কথা যদি মানুষ ভুলেও যায়! কিন্তু প্রবাসীদের প্রেরিতও রেমিটেন্সের আশীর্বাদে দেশের আর্থিক ও সামাজিক খাতে যেটুকু প্রাণ বাকি আছে সেটিও অনেকটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে আপনাদের অবৈধ সরকারের দৈন্য আচারনের কারণে। আজ কয়েকদিন হয়ে গেলো সউদি আরবের মত দেশে আমাদের রিয়াদস্থ দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি সরকার। আপনার বংশপরিক্রমার সৎ ও জনকল্যাণের কাজে নিয়োজিত আওয়ামিলিগারদের নোংরা উদাসীন মুর্খ্য আচারনের কারনে।
এরকম উদাহারন যদি দিতে থাকি সময় শেষ হয়ে যাবে। লিখা শেষ করতে পারবো না। এই একটি! মাত্র আপনার ডিজিটাল উন্নয়ন! তুলে ধরাতে বেখুশী হবেন না আশা করি।
২১. দলীয় মিডিয়ায় ডামাডোল বাজিয়ে যে দুর্নীতির কল্প কাহিনী বানিয়ে তারেক রহমানকে বছরের পর বছর হুঙ্কার দিয়ে আসতেছেন। তিন বারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘর ছাড়া করেছেন এবং যে সব নোংরা কুরুচিপূর্ণ ব্যাবহার অযোগ্য আচরণ উপহার! দিয়ে আসতেছেন। আপনার দল ও সু’সন্তানের! অবৈধ উপার্জন ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের দায়ে মাহামুদুর রহমানকে বেআইনি ভাবে জেলে পুতে রেখেছেন। এধরনের অনেক যায়গাতে আপনার বেআইনি হস্তক্ষেপ কোন দিন এড়িয়ে যেতে পারবেন !
মতিউর রহমান রেন্টুর লিখা “আমার ফাঁসী চাই” এর আশীর্বাদে আপনার ও মৃণালের মুখরোচক গল্প! জাতি কিছুটা ভুলে গেলেও জাতি ও সমাজকে ধ্বংস করার যে নীল নকশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সেটা জাতি চিরকাল মনে রাখবেই বটে।
সর্বশেষ- সবিনয় অনুরধ করবো এখনো সময় আছে। সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতিকে বাঁচতে দিন। সমাজের শান্তি প্রিয় মানুষদেরকে সাধারণ ভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ দিন। সকল প্রকার খুনাখুনি, হত্যা, গুম, লুট, অত্যাচার, নির্যাতন, বন্দুকের-গুলির রাজনীতি পরিহার করে গ্রহণযোগ্য একটি সাধারণ নির্বাচনের বেবসথাপনার লক্ষে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। সেই উদ্দেশ্যে এখনি বিরোধী দলের সকল নিরাপরাধ নেতা কর্মীদের জেল থেকে মুক্তি দিন। বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের নেতাদেরকে সন্মান দিন। তাদেরকে ডেকে আলোচনার আয়জনের ব্যাবস্থা করুন। না হলে আপনি ও আপনার দল বাংলার ইতিহাসের করুন ইতিহাস হয়ে থাকবেন। মনে রাখবেন – এদেশের মালিক শুধু আপনি ও আপনার দল নয়। ১৬ কোটি জনতার দেশ।
আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশ।
মুক্তকথায় লিখেছেন- ইউছুফ ভূঁইয়া।