আজকে কত দেবে জানি না, আগের দিন ৪শ টাকা করে দিয়েছিল।এভাবেই বললেন মিছিলে আসা শ্রমিক আব্দুল হক। তিনি জানান, ধোলাইপাড় এলাকায় বাবুল সরদারের অধীনে নির্মান শ্রমিকের কাজ করেন। বাবুল সরদার তাকে এখানে নিয়ে আসে। কিন্তু আসার আগে কোথায় যেতে হবে তিনি তা জানেন না। শুধু বলেছেন আমার সঙ্গে চল।
ঠিক একইভাবে এই মিছিলে এসেছে রাজধানীর গোরান এলাকার রমজান আলী, জামির হোসেনসহ অনেকে। এরাও আগে থেকে জানতেন না তাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই সব শ্রমিকরা আমাদের সময় প্রতিনিধিকে জানিয়েছে, গত ২০ দিন ধরে হরতাল এবং অবরোধের কারণে তাদের কোন কাজ নেই। কেউ কোন কাজ দেয় না। তাই অর্থকষ্টের কারণে তাদের অনেকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধেই মিছিলে এসেছে। রমজান আলী বলেন, আমরা কোন রাজনীতি বুঝি না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ।
মিছিলে আসা বাড্ডা এলাকার শ্রমিক সরদার আব্দুল হালিমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার অধীনে ২ থেকে ৩শ শ্রমিক কাজ করে। আমাদের এখন কোন কাজ নেই। একারণেই আমরা সমস্যার মধ্যে পড়ে এই কাজে এসেছি।
এর আগে ‘খেটে খা নগরবাসী’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করে। মিছিলটি ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা হাতে কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে এই মিছিল করে।
এসময় পুলিশ মিছিলটির গতিরোধ করলে সেখানেই অবৈধ হরতাল ও অবরোধ মানি না বলে সেøাগান দিতে থাকে। এসময় তাদের হাতে প্লাকার্ড লেখা, মানুষ পোড়ানো বন্ধ করো, আমার বাবাকে পুড়িয়ে মারলে কেন, আমি কাজে যেতে চাই, অবরোধ তুলে নাও, পেট্রলবোমা বন্ধ করো, হত্যার রাজনীতি বন্ধ করো, আমার সন্তানকে বোমা মেরো না।
দুপুর ১টার দিকে পুলিশ তাদের মিছিলটিকে সরিয়ে দেয়। এসময় মিছিল থেকে ডিম ও জুতা ছড়ে মারা হয়। বর্তমানে পুলিশ মিছিলকারীদের অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে।আস