সিলেটের করিমুল্লাহ মার্কেটের সাধারণ ব্যাবসায়ীদের উপর পুলিশের নির্যাতন

বন্দর বাজার সিলেট শহরে আজ মাগরিব নামাজের কিছু আগে জামাত-শিবিরের একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর করে জামাত-শিবির কর্মীরা। পুলিশ সেই সময়ে কোথায় ছিল এই সদুত্তর কেউ দিতে পারেনি তবে সিলেটের করিমুল্লাহ মার্কেটের সাধারণ ব্যাবসায়ীদের ধারণা, জামাত-শিবিরের সাথে পুলিশের আঁতাত রয়েছে, কেননা জামাত-শিবিরের ব্যাপক ভাঙচুর করার পর পুলিশ এসে বন্দর বাজারের করিমুল্লাহ মার্কেট ঘেরাও করে এবং নিরহ ব্যাবসায়ীদের ধর-পাকর ও প্রচন্ড লাঠিচার্জ শুরু করে। করিমুল্লাহ মার্কেটের প্রভাবশালী ব্যাবসায়ী ইশতিয়াক রহিম প্রবাসনিউজ২৪.কম -কে জানায়, অবরোধ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জীবনের ঝুকি নিয়ে তাঁরা তাঁদের মার্কেট খুলেছিল, কিন্তু পুলিশের এহেন কর্মকান্ডে তাঁরা বাধ্য হয় মার্কেট বন্ধ করে পুলিশের সাথে সংঘর্সে। তিনি বলেন, জামাত-শিবির মিশিল করে, ককটেল ফুটিয়ে ভাংচুর করে চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসে তাঁদের মার্কেট ঘেরাও করে এবং মার্কেটের ভিতর পুলিশ ঢুকে যাকে-তাকে ধর-পাকরাও শুরু করে।

pp

এসময়ে মার্কেটের সকল ব্যাবসায়ীরা একহয়ে পুলিশ কে ধাওয়া করলে পুলিশ মার্কেট এর বাইরে এসে অবস্থান নেয় দাংগা পুলিশ ও রায়ট কার নিয়ে। এসময়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এই ঘটনা, মার্কেটের সাথে জড়িত যারা তাঁরা তৎক্ষণাৎ মাঠে নেমে আসে মারমুখি হয়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে এখনো। করিমুল্লাহ মার্কেটের প্রতাপশালী ব্যাবসায়ী ইশতিয়াক রহিম প্রবাসনিউজ-কে আরো জানায়, ছয়জন নিরহ ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সমস্ত বন্দর বাজার এলাকার ব্যাবসায়ীদের প্রতিবাদে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ নিয়ে করিমুল্লাহ মার্কেটের ব্যাবসায়ীদের মাঝে চরম উদ্বেগ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিনি আভাস দিয়েছে পুলিশি হয়রানি যদি বন্ধ না হয় তাহলে তাঁরা বৃহতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

 

জাবের/প্রবাসনিউজ২৪.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *