খিলগাঁওয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছাত্রদল নেতা নিহত

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি (৩০) ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

সোমবার গভীর রাতে খিলগাঁও জোড়পুকুর মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটায় খিলগাঁও থানার এসআই আলাউদ্দিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার শরীরে কয়েকটি  গুলির ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

জনির পিতা ইয়াকুব আলী জানান, গতকাল বেলা তিনটার দিকে জনির ভাই হীরাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। হীরাকে দেখতে গতকাল দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন জন। বেলা ৩টার দিকে জেলগেট থেকে তাকে  ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। গতকাল দুপুর ১টায় পরিবারের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় তার।

খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, ‘ডিবি পুলিশ জোড়পুকুর মাঠের কাছ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। তখন ডিবি পাল্টা গুলি করে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয় জনি।’

তার নামে কোনো মামলা অছে কিনা জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তা জানাতে পারেননি। বলেন, ‘সেটা দেখতে হবে।’

এদিকে গতকাল জনির সঙ্গে আরো একজন ছাত্রদল কর্মী ছিলেন। তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে মতিঝিলের কাচাবাজার থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে ঢামেক হাসাপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইমরুল কায়েস (৩৮) নামের ওই ব্যক্তিকে পুলিশ অজ্ঞাত দেখালেও পরে জানা গেছে, তিনি নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় জামায়াত নেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *