লন্ডনে থেকে তৃণমূলের খবরাখবর নিচ্ছেন তারেক রহমান

টানা অবরোধ কর্মসূচিসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনে আরও গতি বাড়াতে বিএনপির তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিফোনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির সাংগঠনিক ৭৫টি জেলার সব ইউনিটের সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে কথা বলছেন তিনি। লন্ডনে তার সঙ্গে থাকা নেতারাও এ ক্ষেত্রে নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছেন। যেসব এলাকায় আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা কম, তাদের সঙ্গে সরাসরিই ফোনে নানা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। একটি যৌক্তিক পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পরামর্শও দিচ্ছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।
তারা জানান, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যেসব নেতা-কর্মী নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন- তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারেক রহমান। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যে অনেককে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন। হামলা-মামলায় জর্জরিত নেতা-কর্মীদের আইনি সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে তার পক্ষ থেকে।চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মধ্যসারির এক নেতা বলেন, তারেক রহমানের ফোনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে অবরোধ কর্মসূচিতে আরও গতি এসেছে। বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে রাজধানীর গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ রাখছেন। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, অতীতের সব আন্দোলন কর্মসূচির তুলনায় এবার সমন্বয় হচ্ছে অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিন স্তরের নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রথম সারির নেতা গ্রেফতার হলে দ্বিতীয় সারি, আবার দ্বিতীয় সারির নেতারা গ্রেফতার হলে তৃণমূল নেতারাই দলের হাল ধরবেন। ৭৫টি সাংগঠনিক ইউনিটের সবগুলোতেই একই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নিষ্ক্রিয়দের তালিকা করা হচ্ছে : সূত্রমতে, নানা অজুহাত দিয়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি থেকে দূরে থাকা নেতাদের তালিকা তৈরি করছেন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় এবং লন্ডনে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা। বিভিন্ন মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কথা বলে এসব তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ জেলা বিএনপির নেতারা মাঠে থাকছেন না তাদের পরিবর্তে বিকল্প নেতাদের মাধ্যমে কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। আগামীতে নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনসহ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়দের বাদ দেওয়া হবে। আন্দোলন-কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকা নেতাদের দলের মূল নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতা খোঁজখবর নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সুপার ফাইভে দায়িত্বে থাকা নেতাদের সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। সাংগঠনিক ৭৫টি জেলার মধ্যে অন্তত ২০ জেলার শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অবরোধ কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ রয়েছে।তাদের ব্যাপারে বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের নানাভাবে জানানোও হচ্ছে।

সুত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *