পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শর্টগানের অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এসময় অবরোধকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শহরের মাটিডালি বিমান মোড়ে কয়েক দফা এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের মাটিডালি বিমান মোড়ে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার সময় কে বা কারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশ রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে পুলিশ মাটিডালি মোড়ের বিভিন্ন হোটেল ও দোকান থেকে ১৪ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আবারো ২য় বাইপাস মহাসড়কে অবস্থান নেয়। পুলিশ সেখানে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে লোকজনকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে আরেক দফা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বগুড়া সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল জানান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা যখন এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন সেই সময় হঠাৎ পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বিভিন্ন হোটেল ও দোকান থেকে নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ ১৪ জনকে আটক করে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আবুল বাসার জানান, অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে। ১৪ জনকে আটক করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *