কিউবার গুয়ানতানামো বে-র মার্কিন বন্দীশিবির থেকে গত কিছুদিনে বেশ কিছু বন্দীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত এক বছরে ২৮ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাজাখস্তান আর উরুগুয়ের মতো বিভিন্ন দেশে। আপাতদৃষ্টিতে এই বিতর্কিত শিবিরটি বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া হিসেবেই এ উদ্যোগ।
সবশেষ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে পাঁচ জন ইয়েমেনি বন্দীকে। এর মধ্যে চারজন যাবে ওমানে, আর একজনকে নিযে যাওয়া হবে এস্তোনিয়ায়।
এখন বন্দী আছে ১২২ জন। এর মধ্যে ৫৪ জনকে শিগগিরই সরিয়ে নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও এসে গেছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির তারা ম্যাককেলভি।
কিন্তু কোথায় নেয়া হবে তাদের? এই ১২২ জন বর্তমান বন্দীর একজন ব্রিটেনের শাকির আমের। লন্ডনের বাসিন্দা আমের ২০০২ থেকে গুয়ানতানামোতে বন্দী। তিনিই শেষ ব্রিটিশ নাগরিক – যিনি গুয়াানতানামোতে বন্দী আছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামিরন এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করার সময়য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে আমেরের মুক্তির প্রসঙ্গটি তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অপো করা ছাড়া শাকির আমেরের আর কিছুই করার নেই। কারণ, এই বন্দীদের মুক্ত করা বা গুয়াানতানামোর বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা অনেক।
অনেক বন্দীর মামলা হয়তো পুনর্বিবেচনা অপোয়, আবার অনেক বন্দী আছে যাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ গঠনই করা হয়নি।
রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন বলেন, এসব েেত্র বিধিনিষেধ থাকার দরকার কারণ গুয়ানতানামো থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীরা কেউ কেউ আবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
অবশ্য পররাষ্ট্র দফতরেরর একজন কর্মকর্তা বলছেন আবার জঙ্গী হয়ে গেছে এমন বন্দীর সংখ্যা খুবই কম। এদের অর্ধেকই আবার মারা গেছে, বা পুনরায় বন্দী হয়েছে।
অনেক বন্দীকে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারেও নিয়ে যাবার পথে বাধা আছে। মনে করা হয়, তাদের মার্কিন মূলভূমিতে কোনো জেলে রাখাটাও বিপজ্জনক।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০০৯ সালে গুয়ানতানামো বে শিবির বন্ধ করে দেবার এক নির্দেশ জারি করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসে এ নিয়ে ব্যাপক আপত্তি ওঠায় তা এখনো সফল হয়নি।
আতিক/প্রবাস