দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছরের জুনে ফিলিস্তিন অঞ্চলে সংঘটিত সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একজন কর্মকর্তা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তের এই ঘোষণা এলো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আইসিসির সদস্য হওয়ার আবেদন করার পর।
মূলত ওই আবেদনের ফলে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ তদন্তের পথ খুলে গেছে।
আইসিসি এখন যে পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে, সেটা ঠিক যুদ্ধাপরাধের তদন্ত নয়। তারা মূলত কিছু তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে যাচাই করে দেখবে, ফিলিস্তিনি অঞ্চলে এমন কিছু আসলে ঘটেছিল কি না, যার জন্য যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করা যায়।
গত বছরের জুলাই ও আগস্টে গাজার একটি অঞ্চল বোমা বর্ষণের মাধ্যমে প্রায় মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ইসরাইল। এতে তেইশ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও সাধারণ নাগরিক।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে তখন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠলেও আইসিসি এ ব্যাপারে কিছু করতে পারছিল না, কারণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা ইসরাইল কেউই আইসিসির সদস্য নয়।
আইসিসির এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ইসরাইলি প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
তবে আইসিসিতে যোগ দেয়ার জন্য ফিলিস্তিনিরা তৎপরতা শুরু করার পর ইসরাইল ইতোমধ্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে তারা যে রাজস্ব সংগ্রহ করে, সেই রাজস্বের অর্থ হস্তান্তর বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।
আতিক/প্রবাস