অনির্দিষ্টকালের অবরোধের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলায় পেট্রোল ও ডিজেলের সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। জ্বালানি তেলের মজুদ না থাকায় অনেক পেট্রোল পাম্প ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্যই জানা গেছে।
পাম্পে জ্বালানি তেল না থাকায় নগরীর ২৩টি পেট্রোল পাম্পের মধ্যে ১০টি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। দু’এক দিনের মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে খোলা বাজারে প্রতি লিটার পেট্রোল ১১০ টাকা ও ডিজেল ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে যেসব যানবাহন অবরোধের সময় চলাচল করছিল সেগুলোও জ্বালানি তেলের সঙ্কটে অচল হয়ে পড়েছে।
একই সঙ্গে কৃষকরা চলতি বোরো মওসুমে জ্বালানি তেল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি জানায়, জ্বালানি তেলের মজুদ কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ পাম্প বন্ধ রয়েছে। আর যেসব পাম্প চালু আছে সেসব পাম্পে তেলের মজুদ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সেগুলোও আগামী দু’এক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনকে জ্বালানি সঙ্কটের বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন পুলিশের স্কট দিয়ে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, অবরোধের কারণে অনেক পেট্রোল পাম্প মালিক নিজেরাই ঝুঁকি নিয়ে ডিপো থেকে তেল নিয়ে এসে ব্যবসা করছেন। ডিজেল সঙ্কট দেখা দেয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। ডিজেলের জন্য তারা পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভীড় করলেও তা বন্ধ থাকায় খালি হাতে তাদের ফিরতে হচ্ছে।
বাঁধন কাকন পাম্পের ম্যানেজার হোসেন জানান, অবরোধের কারণে তিনি বাঘাবাড়ি থেকে তেলবাহী গাড়ি নিয়ে আসতে পারছেন না। অবরোধ অব্যাহত থাকলে তেল সঙ্কটের কারণে পাম্প বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে তিনি জানান।
সদর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক আজিজ উদ্দিন খান জানান, ৪ বিঘা জমিতে এবার বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন। ৮৫ টাকা লিটার দরে খোলা বাজার থেকে ডিজেল ক্রয় করে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে।
বেশি দাম দিয়ে ডিজেল ক্রয় করে সেচ দেয়ার কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে যা কৃষকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে বলেও মন্তব্য তার।
এদিকে জেলায় জ্বালানি তেলের চাহিদা ও মজুত কত রয়েছে তার পরিসংখ্যান দিতে পারেনি প্রশাসন।
সুত্র-বাংলামেইল