স্বাধীনতা দিবসেই স্মার্টকার্ড

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্রের ইলেক্ট্রনিক কার্ড (স্মার্টকার্ড) গত বিজয় দিবসেই নাগরিকদের হাতে তুলে দেয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চে অন্তত প্রতীকী হলেও এ স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করতে চায় কমিশন।

বুধবার বিকেলে আগারগাঁও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ কার্যালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘গত বিজয় দিবসে ভোটারদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী স্বাধীনতা দিসবে ভোটারদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। তবে এতটুকু বলতে পারি, কার্ড তুলে না দিতে পারলেও সেদিন প্রতীকী কার্ড দেয়ার মাধ্যমে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার‌্যক্রম শুরু করবো।’

এর আগে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের জন্য ফরাসি কোম্পানি অবারথু টেকনোলজির (oberthur technology) সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোম্পানিটি ৯ কোটি স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণ করবে। ৭৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যের এই চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। জুনের মধ্যেই ৯ কোটি ভোটারেদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চায় ইসি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইসি সচিব বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পতীক্ষার পর আমরা আজকের এই মুহূর্তটা পেয়েছি। তবে চুক্তি স্মারক্ষের চেয়ে ৯ কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সালে যখন আমরা ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিলাম সেটিও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি।’

সচিব জানান, বিভিন্ন দেশের চারটি কোম্পানি এ কাজ পেতে আবেদন করেছিল। পরে যাচাই-বাছাই এবং সর্বনিম্ন মূল্য বিবেচনা করে ফরাসি ওই কোম্পানিটিকে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে ভোটাদের হাতে যে লেমিনেটিং জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে তা অন্তত ২২টি কাজে ব্যবহৃর হচ্ছে। তাই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে উন্নত মানের স্মাটকার্ড দেয়া হবে।

চুক্তি স্মাক্ষর অনুষ্ঠানে ফরাসি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্তোফার ফোন্তিনা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিস তিনা, বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ক্রিসটিনা কাইমস ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.