ঢাকা: আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ছে মনুষ্য তৈরি বিহঙ্গ। নিচে চলছে পিঠা-পায়েস, মুড়ি-মুড়কি খাওয়া এবং গলায় চলছে গান ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম দেখা পাইলাম না’, এমনি দৃশ্য দেখা গেলো পুরান ঢাকার লালকুঠির ছাদে। এই দৃশ্যই বুঝাতে চাচ্ছে যে, পুরান ঢাকায় এখন চলছে পৌষ সংক্রান্তির উৎসব ‘সাকরাইন’।
‘ঢাকা কেন্দ্র’ নামে ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বুড়িগঙ্গার তীরে ফরাশগঞ্জের লালকুঠির ছাদে দিনব্যাপী সাকরাইন উৎসব উদযাপিত হয়।
সাকরাইনের মূল আকর্ষণ ঘুড়ি। কতো রকমের যে ঘুড়ি হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো. আজিম বখশ বলেন, ‘সাকরাইন ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যের মধ্যে একটি। আমরা যেহেতু ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করি তাই গত ৪ বছর যাবৎ ঘটা করে এই সাকরাইনটা করে থাকি।’
এবছর ঢাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তিনজনকে সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে হাজী আব্দুল আলিমের বয়স ৯৭ বছর। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাকরাইন উৎসবের সঙ্গে জড়িত। আরেকজন হলেন বিখ্যাত ঘুড়ি কারিগর সুনীল চন্দ্র বর্মণ এবং অন্যজন আন্তর্জাতিক ঘুড়ি প্রতিযোগী মো. ইউনোস।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুরান ঢাকার প্রায় প্রতিটি বাসার ছাদে শুরু হয় আতশবাজী, আগুনের খেলা আর ফানুস উড়ানোর ধুম।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাকরাইন পালিত হবে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের আঁধার শাখারীবাজার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো সাকরাইন উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে উদীচী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।