আতংক উৎকন্ঠা ও সহিংসতার আশংকার মধ্য দিয়ে নোয়াখালী থেকে দূর পাল্লার পরিবহন চলছে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায়। সড়কে অবরোধকারীদের রোষানলে পড়ে জান-মালের ক্ষতির আশংকা করছেন যাত্রী ও গাড়ী চালকরা। চলছে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হিড়িক।
চট্টগ্রামগামী বাঁধন পরিবহনের চালক মামুন বলেন, পুলিশী নিরাপত্তায় সোনাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে চৌরাস্তায় আসছি। নোয়াখালী থেকে ফেনী মহিপাল পর্যন্ত নোয়াখালী ও ফেনী জেলার নিদিষ্ট থানা গুলো নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। তবে এক থানা থেকে অন্য থানা পার করতে পুলিশ অনেকগুলো গাড়ি একসাথ করে ছাড়ে বিধায় ১-২ঘন্টা দেরি হয়। অবরোধের আগে নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম যেতে ৩-৪ঘন্টা লাগলেও এখন সময় লাগে ৭-৮ ঘন্টা। বিশ্ব রোডে সহিংসতার আশংকা কম বলেও তিনি জানান।
যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, হরতাল-অবরোধে পরিবহনে হামলা-সহিংসতা বেশি হয়। তারপরও জরুরি কাজ থাকায় নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছি। পুলিশী নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রীরা বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া ও সময় একটু বেশি লাগলেও পুলিশী নিরাপত্তা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বিধায় তারা পরিবহনে উঠছেন।
যাত্রীরা জানায়, নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম যেতে স্বাভাবিক সময়ে ২শ টাকা ভাড়া হলেও এখন যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ৩শ ৫০ থেকে ৪শ টাকা। একই অবস্থা নোয়াখালী-ঢাকা রুটেও। আগে যেখানে ৩শ ২০টাকা ভাড়া ছিল অবরোধের অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের থেকে কাউন্টারগুলো নিচ্ছে ৫শ টাকা। যাত্রী সুমন জানান মঙ্গলবার ১১টায় ৫শ টাকা দিয়ে দুটি টিকেট কিনেছি। অনেকগুলো বাস একসাথ করে ৩টায় ছাড়বে।
এ বিষয়ে কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা যায়, পরিবহন মালিকরাই তাদের টিকেট প্রতি বেশি টাকা আদায় করতে বলেছেন। এতে তাদের কিছুই করার নেই।
এদিকে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘঠছে প্রতিনিয়ত। নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে গত মঙ্গলবার ভোর ৬টায় সোনাপুর ষ্টেশনে থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও ৬ ঘন্টা পর বেলা সাড়ে ১১টায় ছেঁড়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় চৌমুহনী রেল ষ্টেশনে এসে দেখা যায় যাত্রীদের উপছে পড়া ভিড়।
ট্রেনের যাত্রী নজরুল জানায়, চৌমুহনী থেকে নিয়মিত উপকূল কক্সপ্রেস ভোর সাড়ে ৬টায় ছেড়ে যায় এ কারনে আমি ভোর ৬টার মধ্যে ষ্টেশনে আসি কিন্তু সাড়ে ১১টায়ও ট্রেন ষ্টেশনে এসে পৌছায়নি।
পরিবহন মালিকরা জানান, টানা অবরোধের প্রথম দিকে সহিংসতার আশংকা থাকায় দূর পাল্লার গাড়ি চলেনি। এ খাতে নিয়োজিত মালিক শ্রমিকদের অবস্থা নাজুকের কারনে ও সরকারের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে আমরা পরিবহন বের করেছি। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে জানান ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করেছি তাই একটু বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।