ঢাকা: কেন্দ্রীয়ভাবে ছাত্র ঐক্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো না আসলেও নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সিলেটে রাজপথের আন্দোলনে এক কাতারে চলে এসেছে বিএনপি ও জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির।
ইতিমধ্যে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্ঠা শমসের মুবিন চৌধুরী সহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও তাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার সিলেট জেলায় সকাল-সন্ধ্যা যৌথভাবে হরতালের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, সেক্রেটারি লুকমান আহমদ, সিলেট জেলা সভাপতি সাঈদ আহমদ, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী সভাপতি মু.আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাশুক আহমদ, শাবিপ্রবি সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুজন, সিলেট জেলা পূর্ব সভাপতি এস এম মনোয়ার হোসেন, জেলা পশ্চিম সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এই হরতালের ঘোষণা দেন।
এদিকে সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলন বেগবান করতে খুব শিগগিরই কেন্দ্রীয়ভাবে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদল ও শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অবৈধ সরকারের পতনের দাবিতে সারাদেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল ঠিক তখনি ২০দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চায় অবৈধ সরকার। এরই অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন এর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্ঠা শমশের মুবিন চৌধুরী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সুহেল আহমদ সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা বলেন, এভাবে গণগ্রেফতার চালিয়ে নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবেনা অবৈধ সরকার। অবিলম্বে আটককৃতদের নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সর্বস্তরের ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।